অনেকেই বছরের পর বছর ঘরে থাকা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন না। তবে প্রযুক্তিবিদদের মতে, এ অভ্যাস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দীর্ঘদিন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড না বদলালে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১.

নেটওয়ার্কে সহজে অনুপ্রবেশ

একটি পাসওয়ার্ড দীর্ঘ সময় অপরিবর্তিত থাকলে তা অনুমান করা এবং অন্যের কাছে ছড়িয়ে পড়া সহজ হয়ে যায়। আর তাই কেউ একবার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারলে ব্যবহারকারীর অজান্তেই দীর্ঘসময় সংযোগ ব্যবহার করতে পারে।

২. ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া

অন্য কেউ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করলে ইন্টারনেট স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। এতে ভিডিও দেখা, অনলাইন ক্লাস বা গেম খেলার সময় বারবার বিঘ্ন দেখা দেয়।

৩. নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে যাওয়া

পুরোনো বা দুর্বল পাসওয়ার্ড সহজেই হ্যাকিং টুলের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা যায়। সাইবার অপরাধীরা সাধারণ পাসওয়ার্ডের ধরন বা আগের কোনো ডেটা ফাঁস থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। ফলে যন্ত্রে সাইবার হামলার সম্ভাবনা বাড়ে।

৪. ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা

নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ ঘটলে শেয়ার করা ফাইল, স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের তথ্যে নজরদারি করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। রাউটার পুরোনো হলে এ ঝুঁকি আরও বাড়ে।

৫. স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি

সাইবার অপরাধীরা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে গোপনে প্রবেশ করে ক্যামেরা, টেলিভিশন, স্পিকার বা অন্যান্য আইওটি ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে। এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়।

৬. আইনি ঝামেলা

আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কেউ অবৈধ আধেয় (কনটেন্ট) প্রকাশ বা ডাউনলোড, প্রতারণা ও সাইবার হামলা চালালে এর দায়ভার আপনার ওপরই বর্তাবে। আর তাই অন্য কেউ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে।

আরও পড়ুনঘরের ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে গেছে? সমাধান মিলবে এই ৭ উপায়ে০৭ আগস্ট ২০২৫

৭. রাউটারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা

সাইবার অপরাধীরা পর্যাপ্ত অ্যাকসেস পেলে রাউটারের ড্যাশবোর্ডে ঢুকে নিরাপত্তা সেটিংস বদলে ফেলতে পারে। আর তাই গোপনের রাউটারের সুরক্ষা সুবিধা বন্ধ করে সাইবার হামলা চালাতে পারে।

সূত্র: টেক্লুসিভ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প সওয় র ড প রব শ র উট র উট র র

এছাড়াও পড়ুন:

মাত্র দুইটি উপাদান দিয়ে ফেয়ার পলিশ করতে পারেন

ফেয়ার পলিশ রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে করা হয়। ফেয়ার পলিশ এক ধরণের এক্সফোলিয়েশন। যা ত্বকের গভীর স্তরে কোষের কার্যকলাপ বাড়িয়ে রক্তসঞ্চালন উন্নত করে। এর ফলে ত্বক আরও সতেজ হয়। ফেয়ার পলিশ করলে অক্সিজেন ও ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ত্বকের উপরিভাগে পৌঁছাতে পারে।

ফেয়ার পলিশের উপকারিতা 
•    ত্বকের টেক্সচার পরিশীলিত করে
•    ত্বক উজ্জ্বল করে
•    ডিটক্সিফাই করে
•    কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদনে সহায়তা করে
•    স্কিন টোন সমান করে
•    পরবর্তী প্রোডাক্ট শোষণের জন্য ত্বক প্রস্তুত করে
•    ত্বকে আলোকিত গ্লো আনে

আরো পড়ুন:

শীতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে যেসব খাবার খেতে পারেন

শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়


ফেস  পলিশ করতে যা যা লাগবে
সমপরিমাণ বেকিং সোডার সাথে আপনার নিয়মিত ফেসওয়াশ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি দিয়ে হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

এবার ঘন পেস্ট নিয়ে মুখ, ঘাড় ও ডেকলেটেতে সমানভাবে লাগান। ২ মিনিট ম্যাসাজ করে উষ্ণ পানিতে ভেজানো  নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। আবার কাপড়টি উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে ১ মিনিটের জন্য মুখে রেখে হালকা ওয়ার্মিং ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন

উল্লেখ্য,  সপ্তাহে একবার ফেয়ার পলিশ করতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ