জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ না আসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আটক ছাত্রলীগ কর্মী আফিয়া আনজুম সুপ্তি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগ নেত্রী আফিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, অভিযুক্ত আফিয়া আনজুম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরীক্ষার সনদ তুলতে এসেছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশকে অবগত করেন। মামলা না থাকায় বিকেলে প্রক্টর অফিসের জিম্মায় দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা না থাকায় জবি প্রশাসনও তাকে ছেড়ে দেয়।

ছাত্রলীগ কর্মী আফিয়া বলেন, “আমি ছাত্রলীগ করতাম। শেখ মুজিবের আদর্শকে ধারণ করি। কিন্তু আমাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আমি জগন্নাথের রাজনীতিতে সক্রিয় না, ৭১ এর  আদর্শকে লালন করি, বঙ্গবন্ধুর পক্ষের লোক। আমি জগন্নাথের কাউকেই কোন প্রকার আঘাত করিনি, কোন বিষয়ে বিরোধীতা করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। কারণ আমি জুলাই আন্দোলনের কোন বিরোধিতা করিনি,আমি বাড়িতে ছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের কমিটিতে আমার কোন পদও ছিল না। আমার কারো সঙ্গে কোন ঝামেলাও ছিল না। কোন আদর্শ ধারণ করাকে অন্যায় মনে করি না।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড.

মো.তাজাম্মুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। আমরা পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে আনার সঙ্গে সাঙ্গে পুলিশকে অবগত করা হয়। প্রসাশনের কাছে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ ছিল না। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

পুলিশ বক্সের এসআই মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রশাসন থেকে কল পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মামলা ছিল না। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তাকে ছেড়ে দেয়।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ব্যবহৃত গুলি ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন। অভিযান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

হল প্রাধ্যক্ষ জানান, তিনি আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে তল্লাশি চালান। এমন সময় ৩০৭ নম্বর কক্ষে ব্যবহৃত গুলি ও এর জানালার পাশে মাদক পেয়েছেন। অভিযানের সময় ওই কক্ষে তিনজন শিক্ষার্থী অবস্থান করেছিলে।

আরো পড়ুন:

৩৫ বছর পর রাকসু তফসিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে

ওই তিন শিক্ষার্থীরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাকিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সবুজ মিঞা ও রবিন আউয়াল রবিন এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের একই বর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাঈদ উদ্দিন আহমেদ।

এর মধ্যে সবুজ মিঞা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে আবাসিক শিক্ষার্থী। তার ব্যাপারে নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হারুন বলেন, “সবুজ মিঞা যেহেতু আমাদের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না। তার বিরুদ্ধে এখন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। তবে, আমি তার হলের প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানাব।”

এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “এ ব্যাপারে এখনো আমাকে কেউ কিছু অবগত করেননি।”

এদিকে, শিক্ষার্থী সাঈদ উদ্দিন আহমেদকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে প্রক্টোরিয়াল বডি। এরপর গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও আবাসিক হলে অবস্থানের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কীভাবে তিনি হলে অবস্থান করছেন- এমন প্রশ্নে প্রাধ্যক্ষ বলেন, “ওই কক্ষে যারা থাকে, তাদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলাম- আনাস যাতে ওই কক্ষে থাকতে না পারে। তালাও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং আদেশ অমান্য করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে ওই কক্ষে রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ ঘটনার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। প্রাথমিকভাবে যে কক্ষ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডকে বিষয়টা অবগত করেছি। শৃঙ্খলা বোর্ড এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান বলেন, “অভিযুক্তদের ডোপ টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। তবে, এগুলো হলের বিষয়, হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে। আর হল প্রশাসন শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠালে তখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার