আটক ছাত্রলীগের কর্মীকে ছেড়ে দিল জবি প্রশাসন
Published: 19th, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ না আসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটক ছাত্রলীগ কর্মী আফিয়া আনজুম সুপ্তি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগ নেত্রী আফিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, অভিযুক্ত আফিয়া আনজুম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরীক্ষার সনদ তুলতে এসেছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশকে অবগত করেন। মামলা না থাকায় বিকেলে প্রক্টর অফিসের জিম্মায় দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা না থাকায় জবি প্রশাসনও তাকে ছেড়ে দেয়।
ছাত্রলীগ কর্মী আফিয়া বলেন, “আমি ছাত্রলীগ করতাম। শেখ মুজিবের আদর্শকে ধারণ করি। কিন্তু আমাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আমি জগন্নাথের রাজনীতিতে সক্রিয় না, ৭১ এর আদর্শকে লালন করি, বঙ্গবন্ধুর পক্ষের লোক। আমি জগন্নাথের কাউকেই কোন প্রকার আঘাত করিনি, কোন বিষয়ে বিরোধীতা করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। কারণ আমি জুলাই আন্দোলনের কোন বিরোধিতা করিনি,আমি বাড়িতে ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের কমিটিতে আমার কোন পদও ছিল না। আমার কারো সঙ্গে কোন ঝামেলাও ছিল না। কোন আদর্শ ধারণ করাকে অন্যায় মনে করি না।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড.
পুলিশ বক্সের এসআই মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রশাসন থেকে কল পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মামলা ছিল না। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তাকে ছেড়ে দেয়।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’