অবন্তি সিঁথি। এ সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি নাটাই মিউজিক থেকে প্রকাশিত হয়েছে তানজীব সারোয়ারের সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গান ‘প্রেমের টান’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ িনিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে...

প্লেব্যাকের বাইরে এই প্রথম তানজীব সারোয়ারের সঙ্গে দ্বৈত গান গাইলেন। ‘প্রেমের টান’ গানটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?  

মাত্র তিন দিন আগে ‘প্রেমের টান’ গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অল্প সময়ে শ্রোতাদের কাছে যে সাড়া পেয়েছি, তা আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। আমার ধারণা, যত দিন যাবে, গানের শ্রোতা তত বাড়বে। মূলত শ্রোতাদের প্রত্যাশা থেকেই এই ধারণা তৈরি হয়েছে। কারণ, ‘সুরঙ্গ’ সিনেমায় তানজীবের সঙ্গে গাওয়া ‘গা ছুঁয়ে বল’ গানটি অনেকে ভীষণ পছন্দ করেছেন। তখন থেকেই চাইছিলেন আমরা যেন এমন আরও কিছু গান গাই। সে কারণেই তানজীব মেলোডি সুরে ‘প্রেমের টান’ গানটি তৈরি করেছেন। সংগীতায়োজনের জন্য বেছে নিয়েছেন সাজিদ সরকারকে। আমি ও তানজীব দু’জনেই চেষ্টা করেছি, গায়কীর মধ্য দিয়ে গানটি শ্রুতিমধুর করে তোলার। 

শুনেছি, ‘প্রেমের টান’ গানটি অনেক দিন আগে তৈরি করা। তাহলে প্রকাশ করতে এতটা সময় নেওয়ার কারণ? 

গত কয়েক মাস আমরা যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি, তাতে নতুন গান প্রকাশ করা ছিল এক ধরনের বিলাসিতা। সে কারণে গান প্রকাশে একটু সময় নেওয়া। 

আজকাল নাটকেই বেশি প্লেব্যাক করতে দেখা যাচ্ছে, কারণ কী?  

এখন টিভি নাটকের গল্পেও অনেক বিষয় বৈচিত্র্য উঠে আসছে। যেজন্য গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের গান। সিনেমার ক্যানভাসটা নাটকের চেয়ে বড়– এটুকু যা পার্থক্য। তাই সিনেমার মতোই আনন্দ পাচ্ছি, নাটকের গানে প্লেব্যাক করে। 

ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার ইচ্ছা বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মেলোডি গানই প্রাধান্য দিচ্ছেন?

মেলোডি গানের আবেদন সবসময় ছিল। তাই চাইলেও মেলোডি থেকে দূরে সরে থাকা সম্ভব নয়। আবার কথা সত্যি যে, ভার্সেটাইল শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই গানের ভুবনে পা রেখেছিলাম। এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি। বেশ কিছুদিন ধরেই চাইছি, গায়কীতে নিজেকে ভেঙে আরও নতুনভাবে তুলে ধরতে। যেজন্য গান নিয়ে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছি।

নতুন আর কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন? 

এর মধ্যে একক গানের পাশাপাশি এ সময়ের আলোচিত কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে কয়েকটি দ্বৈত গান গেয়েছি। সেগুলো বছরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ পাবে। এর বাইরে আমার জীবনসঙ্গী অমিত দে’র সঙ্গে একটি এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। সেখানে সুরকার ও সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন মিঠুন চক্র। সঙ্গে আরও আছেন গীতিকার রাসেল রহমান। এরই মধ্যে আমরা ‘সহসা’ শিরোনামে একটি গান তৈরি করেছি। সামনে আরও কিছু কাজের পরিকল্পনা আছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ