গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুটি মন্দিরে রাতের অন্ধকারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে মন্দিরের প্রতিমা ও পূজার সরঞ্জামাদি পুড়ে গেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছ তা জানা যায়নি।

খবর পেয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মো.

আব্দুল বাছেদ, ওসি মো. শফিউদ্দিন খান, রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমদাদুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ ইশতিয়াক পটু, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওই মন্দিরের পূজারি প্রমথ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা মন্দিরে পূজা দেই। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বাঁশের তৈরি দরজা খোলা দেখতে পাই। দুর্গা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি পূজার সরঞ্জাম আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া পাশের শীতলা মন্দিরেও শীতলা দেবীর প্রতিমার গায়ে পাটখড়ি দিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে আমি বিষয়টি সবাইকে জানাই।’

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ মন দ র মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ