জাহাজের সুকানি সাব্বির আহম্মেদ হত্যা মামলায় তার দুই সহকর্মীকে যাবজ্জীবন ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী মামলার রায় ঘোষণা করেন। পালাতক থাকায় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু

কুমারখালীতে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার চামটা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন খান ও পিরোজপুর জেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আমজেদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

সাত বছরের কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন- ঢাকা জেলার দারুসসালাম থানার ১৮/বি প্রথম কলোনি, লালকুঠি মাজার রোডের মৃত আবু জাফর ইকবালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেহেরিন সাদ নামে একটি জাহাজে করে সাব্বির আহম্মেদ তার অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। নড়াইলের নড়াগাতি থানার বড়দিয়া ঘাটে অবস্থানকালে সাব্বির আহম্মেদকে তার সহকর্মীরা খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন। পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর নড়াগাতি থানায় মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন মো.

মহিদুল ইসলাম। পরের দিন তিনি বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় বিচারক ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পিরোজপুর জেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলামকে খালাস দেন আদালত।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
  • দুই ভাইয়ের গ্রেপ্তারের খবর ‘বিশ্বাস করতে পারছেন না’ বাবা