জাহাজের সুকানি হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
Published: 21st, January 2025 GMT
জাহাজের সুকানি সাব্বির আহম্মেদ হত্যা মামলায় তার দুই সহকর্মীকে যাবজ্জীবন ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী মামলার রায় ঘোষণা করেন। পালাতক থাকায় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু
কুমারখালীতে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার চামটা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন খান ও পিরোজপুর জেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আমজেদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
সাত বছরের কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন- ঢাকা জেলার দারুসসালাম থানার ১৮/বি প্রথম কলোনি, লালকুঠি মাজার রোডের মৃত আবু জাফর ইকবালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেহেরিন সাদ নামে একটি জাহাজে করে সাব্বির আহম্মেদ তার অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। নড়াইলের নড়াগাতি থানার বড়দিয়া ঘাটে অবস্থানকালে সাব্বির আহম্মেদকে তার সহকর্মীরা খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন। পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর নড়াগাতি থানায় মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন মো.
এ ঘটনায় বিচারক ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পিরোজপুর জেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলামকে খালাস দেন আদালত।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সকালের অ্যালার্ম, না ফোনভীতি? জেন–জিরা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জ জয় করবেন যেভাবে
যদি আপনি একজন মিলেনিয়াল হন, তাহলে হয়তো অফিসের ফোন ধরা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না। কিন্তু জেনারেশন জেড (জেন জেড)–এর কাছে কর্মক্ষেত্রের এই সাধারণ কাজটিই উদ্বেগের বিশাল কারণ। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।
ট্রিনিটি কলেজ অব লন্ডনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ গবেষণায় মতামত দেন ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সীরা এই জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা যায়, তরুণদের ৩৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো আলাপচারিতায় ভয় পান। প্রায় ৬০ শতাংশ বলেছেন, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের সমস্যা হয়, আর ৩০ শতাংশ তরুণ ফোন ধরতে ভয় পান।
তবে এসব কর্ম–আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞরা জেনারেশন জেডের এই উদ্বেগগুলো দূর করার জন্য দিয়েছেন কিছু সহজ পরামর্শ—
গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।