জাল দলিল তৈরি এবং আসল দলিল নষ্ট করার অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছে (দুদক)। গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলারা আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.

শওকত হোসেন (৫৫), তার ভাইপো  একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবু জাফর গাজীর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত শাওন (৩৫), সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের নকলনবীশ অনল কৃষ্ণ রায় (৩৮), কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটা এলাকার কাজী আবুল বাশার (৬৫) ও সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার এম এম শাহজাহান (৫৫)।  

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর মিলে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রি করা দলিল নম্বর ৩০৭৭/১৯৯৩, ৪৫২০/১৯৯৩ এবং ৩৭৬১/১৯৯৫-এর জাল সার্টিফাইড কপি তৈরি করেন। এসব জাল দলিল মূল দলিল হিসেবে উপস্থাপনের উদ্দেশে বালাম বই থেকে পাতা ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘটনাটি ধরা পড়ে। নকলনবীশ মো. আবু বাশারের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে সহকর্মীদের জানান।

আরো পড়ুন:

সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড

অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
কটিয়াদী থানার ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা 

দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজল বলেন, “এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হওয়ার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে দেখা যায়, এটি দুদকের সিডিউলভুক্ত অপরাধ। এ কারণে মামলাটি দুদকের হেড অফিসে পাঠানো হয়। হেড অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা  করা হয়েছে।” 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দল ল

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ