Risingbd:
2025-08-01@04:42:43 GMT

প্রযোজকের মাথা ফাটালেন নায়িকা!

Published: 26th, January 2025 GMT

প্রযোজকের মাথা ফাটালেন নায়িকা!

ঢাকাই সিনেমার নবাগতা নায়িকা রাজ রিপার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবুল বাশার নামে এক লুব্রিকেন্ট (ইঞ্জিন অয়েল) ব্যবসায়ী ও সিনেমার প্রযোজক। গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানাধীন ‘রাতের কাবাব’ রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করে মামলা করেন দায়ের বাশারের ভাই মো. আব্বাস।

এ ঘটনায় আহত আবুল বাশারের মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত ১৮ জানুয়ারি গুলশান একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন আব্বাস। এর মামলার নাম্বার ২২। মামলায় এক নাম্বার আসামী চিত্রনায়িকা শারমিন আফরোজ রিপা ওরফে রাজ রিপা, দুই নাম্বার আসামী চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী ও তিন নাম্বার আসামী রাজ রিপার স্বামী শামীম আহমেদ শিশির ওরফে শিশির সরদার।

আরো পড়ুন:

রাজের নায়িকা ফারিণ!

সিনেমায় অভিনয়ের কথা কল্পনাও করতে পারি না: মমতা কুলকার্নি

মামলার অভিযোগে বাদী বলেছেন, ১৪ জানুয়ারি প্রযোজক আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে আবু রায়হান রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের রাতের কাবাব রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। তখন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা ও তার স্বামী শিশির সরদার এবং চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীরও সেখানে যান। ডিনার শেষে রাজ রিপা প্রযোজক আবুল বাশারের কাছে চাষী নামে তার সাবেক ড্রাইভারের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। আবুল বাশার এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বললে রাজ রিপা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যবহৃত স্যামসাং এস-২৪ আলট্রা ব্রান্ডের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।

আবুল বাশার তাতে বাধা দিলে রাজ রিপা মোবাইল দিয়ে একাধিকবার পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। একই সময় চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও আবুল বাশারকে খাবার টেবিলে থাকা কোল্ড ড্রিংকসের কাঁচের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। অতর্কিত আক্রমনে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল বাশার ফ্লোরে পড়ে গেলে শিশির সরদার তাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এ সময় আসামীরা আবুল বাশারের গলার পরা ২ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ 

এ ঘটনা নিয়ে চিত্রনায়িকা রাজ রিপার কাছে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ