Risingbd:
2025-05-01@09:50:44 GMT

প্রযোজকের মাথা ফাটালেন নায়িকা!

Published: 26th, January 2025 GMT

প্রযোজকের মাথা ফাটালেন নায়িকা!

ঢাকাই সিনেমার নবাগতা নায়িকা রাজ রিপার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবুল বাশার নামে এক লুব্রিকেন্ট (ইঞ্জিন অয়েল) ব্যবসায়ী ও সিনেমার প্রযোজক। গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানাধীন ‘রাতের কাবাব’ রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করে মামলা করেন দায়ের বাশারের ভাই মো. আব্বাস।

এ ঘটনায় আহত আবুল বাশারের মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত ১৮ জানুয়ারি গুলশান একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন আব্বাস। এর মামলার নাম্বার ২২। মামলায় এক নাম্বার আসামী চিত্রনায়িকা শারমিন আফরোজ রিপা ওরফে রাজ রিপা, দুই নাম্বার আসামী চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী ও তিন নাম্বার আসামী রাজ রিপার স্বামী শামীম আহমেদ শিশির ওরফে শিশির সরদার।

আরো পড়ুন:

রাজের নায়িকা ফারিণ!

সিনেমায় অভিনয়ের কথা কল্পনাও করতে পারি না: মমতা কুলকার্নি

মামলার অভিযোগে বাদী বলেছেন, ১৪ জানুয়ারি প্রযোজক আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে আবু রায়হান রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের রাতের কাবাব রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। তখন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা ও তার স্বামী শিশির সরদার এবং চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীরও সেখানে যান। ডিনার শেষে রাজ রিপা প্রযোজক আবুল বাশারের কাছে চাষী নামে তার সাবেক ড্রাইভারের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। আবুল বাশার এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বললে রাজ রিপা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যবহৃত স্যামসাং এস-২৪ আলট্রা ব্রান্ডের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।

আবুল বাশার তাতে বাধা দিলে রাজ রিপা মোবাইল দিয়ে একাধিকবার পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। একই সময় চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও আবুল বাশারকে খাবার টেবিলে থাকা কোল্ড ড্রিংকসের কাঁচের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। অতর্কিত আক্রমনে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল বাশার ফ্লোরে পড়ে গেলে শিশির সরদার তাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এ সময় আসামীরা আবুল বাশারের গলার পরা ২ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ 

এ ঘটনা নিয়ে চিত্রনায়িকা রাজ রিপার কাছে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ