ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ মাহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি–ব্লকের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। 

মৃতের ভগ্নিপতি মির্জা হাবিবুর রহমান বলেন, ইশতিয়াক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম চৌধুরীর ছেলে। দুই ভাই–বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একটি মেসে থাকতেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। ভর্তি হতে না পারায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি দেশের বাইরে পড়তে যেতে চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও পরিবার রাজি হয়নি। 

ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, মেসে মৃতের কক্ষে আরও দুই শিক্ষার্থী থাকেন। ঘটনার সময় তারা বাইরে ছিলেন না। অনেকক্ষণ ধরেই তারা ফোনে কল করে ইশতিয়াককে পাচ্ছিলেন না। পরে মেসে ফিরে দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে তার মৃত্যু হয় তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের সঙ্গে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল– আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ