সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
Published: 28th, January 2025 GMT
রানিং এলাউন্সসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে রেলওয়ের স্টাফরা। এতে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের ট্রেন চলাচল। কমলাপুর স্টেশন থেকে গতকাল রাত পৌনে একটায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবার পর আর কোনো ট্রেন যাত্রা করেনি। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে যাদের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল তারা পড়েছেন বিপাকে।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন দেওয়া ও আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছে রেলের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।
সমস্যা সমাধানে গতকাল সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয় নি। যদিও যাত্রী ভোগান্তি বিবেচনা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু আন্দোলনরত রেলকর্মীরা বলেছেন, চার বছর ধরে এসব দাবি উপেক্ষা করায় কর্মবিরতি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ল য গ য গ বন ধ র লওয
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক আলোচনার জন্য চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনার জন্য চীনের সাথে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউয়ুয়ান তান্তিয়ান তার অফিসিয়াল ওয়েইবো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, “শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা করার আশায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে চীনের সাথে যোগাযোগ করেছে।”
চলতি সপ্তাহে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেটসহ মার্কিন কর্মকর্তারাও বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতির আশা প্রকাশ করেছেন।
হ্যাসেট সিএনবিসিকে জানান, শুল্ক আরোপ নিয়ে “উভয় সরকারের মধ্যেই হালকা আলোচনা” হয়েছে। কিছু মার্কিন পণ্যের উপর চীনের শুল্ক কমানো অগ্রগতির লক্ষণ।
বেইজিং শুল্কের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ্যেই জানিয়েছে। তাদের মতে, এই শুল্ক হুমকির সমতুল্য। তবে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির উত্থান থামাতে পারে না।
শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করার জন্য তার প্রচারণা যন্ত্রকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি চীন নীরবে মার্কিন তৈরি পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করেছে। মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে তারা এসব পণ্যকে প্রতিশোধমূলক ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেবে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত ওষুধ, মাইক্রোচিপ এবং জেট ইঞ্জিন।
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সাথে সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট কোনো নির্দিষ্ট আলোচনার কথা উল্লেখ করেননি। তবে জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন পক্ষ থেকে ১৪৫ শতাংশ এবং চীনা পক্ষ থেকে ১২৫ শতাংশ উচ্চ শুল্ক আরোপের উত্তেজনা হ্রাস করা প্রয়োজন।
তিনি বলেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে চীনারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাইবে। এবং যেমনটি আমি বলেছি, এটি একটি বহু-পদক্ষেপ প্রক্রিয়া হতে চলেছে। প্রথমে, আমাদের উত্তেজনা কমাতে হবে এবং তারপর সময়ের সাথে সাথে আমরা একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির উপর মনোযোগ দিতে শুরু করব।”
তিনি জানান, প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হবে ট্রাম্পের ২০২০ সালের ‘প্রথম ধাপ’ বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকান পণ্যের জন্য ক্রয় প্রতিশ্রুতি পূরণে চীনের ব্যর্থতার পুনর্বিবেচনা করা।
ঢাকা/শাহেদ