সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচ মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি পদত্যাগ করা সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

নভেম্বরে সার্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জনের মৃত্যুর পর থেকে বেলগ্রেডে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ছাত্র, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মী সহ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেছেন, যারা এই বিপর্যয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন।

পদত্যাগের কারণ জানিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভুসেভিচ বলেছেন, “উত্তেজনা কমাতে আমি এই পদক্ষেপটি বেছে নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে উগ্র প্রতিবাদকারীদের সব দাবি পূরণ করেছি।”

ভুসেভিচ ২০২৩ সাল থেকে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থি সার্বিয়া প্রগ্রেসিভ পার্টির প্রধান।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ