বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
Published: 28th, January 2025 GMT
সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচ মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি পদত্যাগ করা সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।  
নভেম্বরে সার্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জনের মৃত্যুর পর থেকে বেলগ্রেডে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ছাত্র, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মী সহ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেছেন, যারা এই বিপর্যয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন।
পদত্যাগের কারণ জানিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভুসেভিচ বলেছেন, “উত্তেজনা কমাতে আমি এই পদক্ষেপটি বেছে নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে উগ্র প্রতিবাদকারীদের সব দাবি পূরণ করেছি।”
ভুসেভিচ ২০২৩ সাল থেকে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থি সার্বিয়া প্রগ্রেসিভ পার্টির প্রধান।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’