বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’ অভিনেত্রী মৌসুমী। ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার তার হাতে উঠেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা, প্রযোজনাও করেছেন এই অভিনেত্রী।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান মৌসুমী; এখনো সেখানে অবস্থান করছেন। এর আগে আমেরিকায় গেলেও দ্রুতই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে অবস্থান করছেন। সেখানে মা-বোন ও দুই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি শুটিং ও শো-এ অংশ নেওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় গুঞ্জন উড়ছে, আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় আছেন মৌসুমী। যদিও এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দেননি মৌসুমী কিংবা তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।

আরো পড়ুন:

‘আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির নজির দেখলাম’

তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবি, নীরবতা ভাঙলেন ওমর সানী

মৌসুমীর দেশে ফেরা নিয়ে একটি গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন ওমর সানী। ‘কুলি’খ্যাত এ তারকা বলেন, “সে (মৌসুমী) তো দেশে কোনো সিনেমা সাইন করে যায়নি কিংবা কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি যে, তার দেশে ফেরার চিন্তা সবাইকে করতে হবে!

ওমর সানীও যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এ তথ্য জানিয়ে ‘মধুর মিলন’ তারকা বলেন, “এখন তো আমাদের পরিবারকে (ছেলে-মেয়ে) সময় দেওয়া উচিত, মৌসুমীও তাই করছে। সেখানে ভালো আছে; আমিও হয়তো শিগগিরই যাব।”

ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন মৌসুমী-ওমর সানী। ১৯৯৫ সালে ৪ মার্চ তাদের প্রেম পরিণয় পায়। এই বিয়ের খবর কেউ জানতে পারেননি। বিষয়টি জানাজানি হয় মৌসুমী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর। এই দম্পতির প্রথম সন্তান ফারদীন গর্ভে আসার চার মাস পর বিয়ের অনুষ্ঠান করেন তারা। রাওয়া ক্লাবে হয় ঘটা করে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান। দিনটি ছিল ১৯৯৫ সালের ৩ আগস্ট।  

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ