মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’ অভিনেত্রী মৌসুমী। ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার তার হাতে উঠেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা, প্রযোজনাও করেছেন এই অভিনেত্রী।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান মৌসুমী; এখনো সেখানে অবস্থান করছেন। এর আগে আমেরিকায় গেলেও দ্রুতই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে অবস্থান করছেন। সেখানে মা-বোন ও দুই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি শুটিং ও শো-এ অংশ নেওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় গুঞ্জন উড়ছে, আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় আছেন মৌসুমী। যদিও এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দেননি মৌসুমী কিংবা তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।
আরো পড়ুন:
‘আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির নজির দেখলাম’
তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবি, নীরবতা ভাঙলেন ওমর সানী
মৌসুমীর দেশে ফেরা নিয়ে একটি গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন ওমর সানী। ‘কুলি’খ্যাত এ তারকা বলেন, “সে (মৌসুমী) তো দেশে কোনো সিনেমা সাইন করে যায়নি কিংবা কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি যে, তার দেশে ফেরার চিন্তা সবাইকে করতে হবে!
ওমর সানীও যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এ তথ্য জানিয়ে ‘মধুর মিলন’ তারকা বলেন, “এখন তো আমাদের পরিবারকে (ছেলে-মেয়ে) সময় দেওয়া উচিত, মৌসুমীও তাই করছে। সেখানে ভালো আছে; আমিও হয়তো শিগগিরই যাব।”
ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন মৌসুমী-ওমর সানী। ১৯৯৫ সালে ৪ মার্চ তাদের প্রেম পরিণয় পায়। এই বিয়ের খবর কেউ জানতে পারেননি। বিষয়টি জানাজানি হয় মৌসুমী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর। এই দম্পতির প্রথম সন্তান ফারদীন গর্ভে আসার চার মাস পর বিয়ের অনুষ্ঠান করেন তারা। রাওয়া ক্লাবে হয় ঘটা করে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান। দিনটি ছিল ১৯৯৫ সালের ৩ আগস্ট।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।