সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা দেখা গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের টিসি রোড এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে এসব স্লোগান লেখা হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গভীর রাতে মুখোশ পরা পাঁচজনের একটি দল আওয়ামী লীগের এই স্লোগান লিখেছে।

কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ভবন ও দোকানের শাটারে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লিখে রাখা হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান আর ভবনে এমন লেখনী চোখে পড়েছে, তার মালিকপক্ষ কিংবা নৈশপ্রহরীরা জানিয়েছে, কে বা কারা এই কাজ করেছে তা তাদের জানা নেই।

এদিকে স্লোগানটি লেখার সময় শহরের মিজমিজি টিসি রোড এলাকার মিজান নামক এক স্থানীয় বাসিন্দার চোখে পড়েছে।

তিনি বলেন, গভীর রাতে মুখোশ পরা পাঁচজনকে কয়েকটি দেয়ালে লিখতে দেখেছেন তিনি। তবে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ আর মুখোশ পরে থাকার কারণে কাউকে চিনতে পারেননি তিনি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ