নিউ মার্কেটে ভিড়ে ‘ছিনতাইকারী’ বলে কুপিয়ে পালালেন যুবক
Published: 30th, January 2025 GMT
ফরিদপুর শহরের চকবাজার নিউ মার্কেটের মধ্যে ছিনতাইকারী বলে ধাওয়া দিয়ে মো. রিফাত (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে পালিয়ে গেছেন আরেক যুবক। অপরাধী কে তা বুঝে ওঠার আগেই মানুষের ভিড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত রিফাতকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নিউ মার্কেটের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত রিফাত জেলার সদর উপজেলার বায়তুল আমান এলাকার জয়নাল হোসেনের ছেলে। আহত ছেলেটি গাড়ির মিস্ত্রির কাজ করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে মার্কেটের জনাকীর্ণ গলির মধ্যে দিয়ে ‘ছিনতাইকারী ধর ধর’ বলে ধাওয়া দিলে উপস্থিত লোকজন গতিরোধ করে। এ সময় রিফাত পড়ে গেলে পিছন থেকে এক যুবক চাইনিজ কুড়াল সদৃশ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। তখন দুয়েকজন তাকে বাধা দিলে কুড়াল হাতে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আহত রিফাত জানান, আজ সকালে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে গেলে তার পিছু নেয় দুই যুবক। পরে নিউ মার্কেট ১ নম্বর গেট থেকে তাকে ধাওয়া দিলে মার্কেটের ভিতর দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কাপড়পট্টি থেকে ফলপট্টির দিকে দৌড়ে যাওয়ার সময় মানুষের বাধায় পড়ে গেলে পিছন থেকে তাকে কুপিয়ে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে। হামলাকারীর রনি তার পূর্বপরিচিত ও শহরের মুন্সিবাজার এলাকার বাসিন্দা বলেও জানায় সে।
আহত রিফাতের মা রেখা খাতুন জানান, সোনালী ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে সকালে তাকে বাসা থেকে পাঠানো হয়। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে বলে মা আমাকে বাঁচাও। আমাকে মার্কেটের ভিতর কুপিয়েছে। দ্রুত আমাকে বাঁচাও। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত আহত আহত র ফ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে নাশকতার চেষ্টা, কেরোসিন, পেট্রোল, গ্যাস লাইটসহ গ্রেপ্তার ৯
ফেনীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে কেরোসিন, পেট্রল, গ্যাস লাইটসহ পৃথক অভিযানে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁদের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই যুবক। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় যানবাহনে আগুন দেওয়ার সময় আবদুল্লাহ আল মাসুম (২২) ও মোহাম্মাদ রাজু (২০) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। দুজনই সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী জনৈক রাজু তাঁদের মুঠোফোনে ফোনে টাকা পাঠান। নির্দেশনা দেওয়া হয় লালপোল এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন লাগাতে। এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিমের পক্ষে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভিডিও করে পাঠাতেও বলা হয় তাঁদের। তাঁদের কাছ থেকে এক বোতল পেট্রল, এক বোতল কেরোসিন, গ্যাস লাইট ও টেপ উদ্ধার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।
ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি আদালত) মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ফুলগাজী-পরশুরাম আমলি আদালত) মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মোহাম্মাদ রাজু নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
এদিকে নাশকতার চেষ্টাকালে আজ সকালে শহরের মহিপাল ও সদর উপজেলার লেমুয়ায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম (২১), মোহাম্মাদ নাহিদ(২২) ও আশরাফুল হক (২১) এবং শহরের মহিপাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ জিসান (১৯), ফারদিন ইসলাম (১৮), মোহাম্মদ সোহেল (১৮) ও সিরামকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।