এস্পানিওলের কাছে হেরে রেফারিকে দুষলেন রিয়াল কোচ
Published: 2nd, February 2025 GMT
লা লিগার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ অবনমন অঞ্চলে থাকা এস্পানিওলের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে শিরোপা দৌড়ে নিজেদের অবস্থান কঠিন করে তুলেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরসিডিই স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে পরাজিত হয় লস ব্লাঙ্কোসরা। এই হারে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪৯, যা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট বেশি (৪৮)। ফলে লিগ শিরোপার লড়াই আরও জমে উঠেছে।
শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল, ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার। ২১ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোল বাতিল হয় কিলিয়ান এমবাপ্পের ফাউলের কারণে। এরপর একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। ৭৬ মিনিটে রদ্রিগোর শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এক মিনিট পর এমবাপ্পের শট রুখে দেন এস্পানিওলের গোলরক্ষক।
এরপরই ৮৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেয় এস্পানিওল। সতীর্থের ক্রসে ছয় গজ বক্স থেকে দুর্দান্ত ভলিতে জয়সূচক গোল করেন রোমেরো। শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় আনচেলত্তির দল। এই জয়ের ফলে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসে ২২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে উঠে এসেছে এস্পানিওল।
ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি ক্ষোভ প্রকাশ করেন রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে। ম্যাচের ৬১ মিনিটে এমবাপ্পেকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করেন রোমেরো, তবে তাকে কেবল হলুদ কার্ড দেওয়া হয়। ২৪ মিনিট পর সেই রোমেরোই দলের জয়সূচক গোল করেন।
আনচেলত্তি বলেন, ‘রেফারির এই সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যার বাইরে। ফাউলটি খুবই কুৎসিত ছিল, এটা লাল কার্ড পাওয়ার মতো অপরাধ। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিও ছিল, কিন্তু কেন লাল কার্ড দেওয়া হলো না, তা বোধগম্য নয়।’
শেষ বাঁশি বাজার পর রোমেরো অবশ্য নিজের কৃতকর্মের জন্য এমবাপ্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান, ‘আমি জানতাম এভাবে দৌড়ের সময় এমবাপ্পেকে আটকানো অসম্ভব। ফলে তাকে আটকাতে আমার পক্ষে যা সম্ভব হয়েছে সেটাই করেছি। হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জটা খুব কুৎসিত ছিল। নিজেরও পছন্দ হয়নি। আমি তার কাছে সেজন্য ক্ষমা চেয়েছি।’
ম্যাচ নিয়ে আনচেলত্তির মন্তব্য, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলাম, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। এক গোল বাতিল হয়েছে, পোস্টে লেগেছে একাধিক শট। আমাদের ২০টি শট ছিল গোল বরাবর। তবে এস্পানিওলও দুর্দান্ত ডিফেন্স করেছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বেতনের পেশার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাইলট। ফ্রান্সে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ মাসিক বেতনের পেশা। জার্মানিতে জটিল ভূমিকার পাইলটেরা মাসে ২৮ হাজার ৯৬ ইউরো উপার্জন করেন। যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা মধ্যম আয়ে পঞ্চম স্থানে। ডেনমার্কে ২০২৩ সালে মাসিক বেতন ১৩ হাজার ৫২৩ ইউরো, দেশটির হিসাবে সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন।
অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতনের বৈচিত্র্য
পাইলটদের বেতন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। যুক্তরাজ্যে বেতন শুরু হয় বছরে ৫৪ হাজার ২৮৩ ইউরো (৪৭,০০০ পাউন্ড) থেকে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য এটি প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ ইউরো (১ ইউরো সমান ১৪১ টাকা ৭৭ পয়সা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ হিসাবে) পর্যন্ত হতে পারে, জানিয়েছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্যারিয়ার্স সার্ভিস।
ইআরআই অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পাইলটরা এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞ পাইলটের চেয়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি আয় করেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞ পাইলটরা প্রায় তিন গুণ বেশি উপার্জন করেন।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫দেশভিত্তিক তথ্যযুক্তরাজ্য
২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এএনএসের তথ্যানুসারে, পূর্ণকালীন ‘এয়ারক্রাফট পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার’-এর বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ হাজার ২৪০ ইউরো (৮০,৪১৪)। ইআরআইয়ের মতে, গড় বার্ষিক বেতন ৯০ হাজার ২৫৩ ইউরো (৭৮,১৪৬ পাউন্ড), লন্ডনের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ ইউরো (১০০,০৬০ পাউন্ড)।
জার্মানি
জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের তথ্যমতে, গড় মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫৬৬ ইউরো (বার্ষিক ১,৫০,৭৯২ ইউরো)। মধ্যম আয় ১০ হাজার ২০৭ ইউরো (বার্ষিক ১,২২,৪৮৪ ইউরো), অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত পাইলটদের ক্ষেত্রে তা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। ইআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটের গড় বেতন ৭৩,৭৮৫ ইউরো, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৭ ইউরো।
ফ্রান্স
INSEE জানায়, ‘সিভিল এভিয়েশন টেকনিক্যাল ও কমার্শিয়াল ফ্লাইট অফিসার’দের গড় মাসিক বেতন ৯ হাজার ৩০০ ইউরো (বার্ষিক ১,১১,৬০০ ইউরো)। ERI অনুসারে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য গড় বেতন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ ইউরো।
ছবি: এমিরেটসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া