টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা: ৫২১ জনকে আসামি করে মামলা
Published: 3rd, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৫২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাব্বি মোরসালিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাফায়েত গাজী নামের এক ব্যক্তিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাধে তাদের। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মুদি ব্যবসায়ী সাফায়েত গাজীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ। এ সময় পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ওসি খোরশেদ আরও বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।
জুনেলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুনেল মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল। ১২ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল আবারও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের ছড়ার ঝোপে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ জুন ছাত্রীর পরিবার কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ছড়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেয়েটির মা। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে জুনেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুনেলকে আজ মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।