বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি হয়েছে। শেখ ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালগুলো আমদানি করে। সোমবার দুপুরে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে এসব চাল আনলোড করা হয়।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন করে চারটি ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পৃথক দফায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত ৯৫% পাথর আমদানির ওপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমানে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। শেখ ট্রেডার্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল বন্দরে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়মিত এভাবে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি করা হলে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ‘‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ভৌগলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। আমরা আরও কী কী পণ্য আমদানি করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং তাদের উৎসাহিত করছি।’’

চালের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমদ ন চ ল আমদ ন ম ট র ক টন চ ল আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ