বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলো ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল
Published: 3rd, February 2025 GMT
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি হয়েছে। শেখ ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালগুলো আমদানি করে। সোমবার দুপুরে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে এসব চাল আনলোড করা হয়।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন করে চারটি ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পৃথক দফায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত ৯৫% পাথর আমদানির ওপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমানে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। শেখ ট্রেডার্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল বন্দরে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়মিত এভাবে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি করা হলে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ‘‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ভৌগলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। আমরা আরও কী কী পণ্য আমদানি করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং তাদের উৎসাহিত করছি।’’
চালের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমদ ন চ ল আমদ ন ম ট র ক টন চ ল আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী