আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কাল
Published: 4th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার থেকে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সহকারী হইকমিশন, আগরতলাতে সকল প্রকার ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম চালু হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকরা গত বছরের ডিসেম্বরে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালায়। ওই সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকারও অবমাননা করে।
এরপর নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী হাইকমিশনের সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই হামলার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেয় বাংলাদেশ।
এরপর ওই হামলার ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ। পাশাপাশি বদলি করা হয় জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
অপারেশন কিলোফ্লাইটের ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম আর নেই
মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন কিলোফ্লাইটের অন্যতম বৈমানিক ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিনের বন্ধু ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আলমগীর সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সকালে বিছানা না ছাড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু তাঁকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন চিকিৎসককে ডাকা হয়। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসক এসে জানান যে তিনি মারা গেছেন।
আজ বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে সাহাবউদ্দিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান আলমগীর সাত্তার। তিনি জানান, এরপর বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা ও রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে। এই শহরের চরকমলাপুরে সাহাবউদ্দিন আহমেদের জন্ম।
সাহাবউদ্দিন আহমেদের ছেলে তাপস আহমেদ বাংলাদেশ বিমানের ৭৮৭ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন। মেয়ে শিপ্রা আহমেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলে জানান আলমগীর সাত্তার।
১৯৭১ সাল পর্যন্ত সাহাবউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসে (পিআইএ) বৈমানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর তিনি স্থলযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। হবিগঞ্জের শাহজিবাজারের টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র বিস্ফোরণের অপারেশনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বেসামরিক পাইলট হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অপারেশন কিলোফ্লাইটের মোট ৮৫টি অপারেশনের মধ্যে ১২টি অপারেশনে ছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম হামলায় অংশ নেন ৬ ডিসেম্বর। এদিন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ এবং ফ্লাইং অফিসার বদরুল আলম অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার নিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও সাদিপুরের দুটি ফেরিঘাটে থাকা পাকিস্তানি অবস্থান ধ্বংস করেন।