নোরা ফাতেহির মৃত্যুর গুঞ্জন, ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা কতটা?
Published: 5th, February 2025 GMT
জোরালো গুঞ্জন উড়ছে, দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি! মূলত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে এই খবরের সূত্রপাত।
বেশ কিছু ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, অনেক উপর দিয়ে টানা হয়েছে ক্যাবল; যা এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে গিয়ে থেমেছে। ক্যাবল কার চলার জন্য যেভাবে তার টানানো হয়, ঠিক তেমন। দুই পাহাড়ের মাঝে সেই ক্যাবলে ঝুলছেন এক নারী। হঠাৎ পড়ে যান তিনি। খানিকটা বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মতো।
এসব ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।” তবে অনেক দূর থেকে ভিডিও ধারণ করায় নারীর মুখটি বোঝা যাচ্ছে না। যার ফলে নোরা ফাতেহির মৃত্যুর খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সত্যি কি মারা গেছেন নোরা ফাতেহি?
আরো পড়ুন:
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী তারা
গাইতে গাইতে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লেন সোনু নিগম
বলিউড লাইফ ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিডিওর নারীটি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে নোরা ফাতেহির মৃত্যুর খবরটি সত্য নয়। তিনি সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
গত মাসে মুক্তি পেয়েছে নোরা ফাতেহির গাওয়া গান ‘স্নেক’। এতে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন নোরা ও জেসন ডেরুলো। গানটি নিয়ে নির্মিত মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন নোরা। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে এটি।
‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ভারতীয় শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন নোরা। তেলেগু ভাষার ‘টেম্পার’, ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’, ‘কিক টু’, বলিউডের ‘সত্যমেভ জয়তে’, ‘স্ট্রিট ড্যান্সার থ্রিডি’ সিনেমার গানে নেচে বিশেষ পরিচিত লাভ করেন তিনি।
শুধু বড় পর্দায়ই নয়, ছোট পর্দা এবং মিউজিক ভিডিওতেও সমান জনপ্রিয় তিনি। ‘ঝলক দিখলা যা’, ‘কমেডি নাইটস’, ‘এমটিভি ট্রল পুলিশ’সহ বেশ কিছু রিয়েলিটি শোয়ে পারফরর্ম করেও নজর কাড়েন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’