আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খানের বড় পর্দার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ স্ক্রিনিংয়েই একসঙ্গে দেখা মিলল তিন খানের।  শাহরুখ খান, সালমান এবং আমিরকে এক ফ্রেমে দেখে  আবারও  উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন ভক্তরা। 

বুধবার মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত ‘লাভিয়াপা’র এই বিশেষ প্রদর্শনীতে শাহরুখ ও আমিরকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসিমুখে শাহরুখকে স্বাগত জানান আমির। দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত অনুরাগীদের মন জয় করেছে। বাদশাহ শুধু আমিরের সঙ্গেই নয়, জুনায়েদ ও ইরা খানকেও শুভেচ্ছা জানান এবং ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ দেন।  

শাহরুখের পাশাপাশি এই স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সালমান খানও। আমিরের প্রিয় বন্ধু তিনি, তাই জুনায়েদের প্রথম ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে তার উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। সালমানও আমির, জুনায়েদ এবং ইরার সঙ্গে এক ফ্রেমে ধরা দেন।  

‘লাভিয়াপা’ একটি রোমান্টিক সিনেমা, যেখানে জুনায়েদের বিপরীতে রয়েছেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুরের কনিষ্ঠ কন্যা খুশি কাপুর। যদিও বড় পর্দায় এটাই জুনায়েদের প্রথম সিনেমা, তবে এর আগে তিনি ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া পিরিয়ড ড্রামা ‘মহারাজ’-এর মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে, খুশি কাপুরের অভিষেক হয়েছিল জোয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিস’-এর মাধ্যমে।  

খুশির ঝুলিতে আরও এক নতুন প্রজেক্ট রয়েছে—সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের বিপরীতে ‘নাদানিয়া’। তবে ‘লাভিয়াপা’তে শুধু জুনায়েদ-খুশিই নন, তাদের সঙ্গে রয়েছেন আশুতোষ রানা এবং কিকু শারদার মতো দক্ষ অভিনেতারাও। ফলে প্রত্যাশার পারদ যে চড়ছে, তা বলাই যায়! কারণ ‘লাভিয়াপা’ শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এবার দেখার বিষয়, জুনায়েদ-খুশির জুটিকে দর্শক কতটা আপন করে নেন!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মে মাসে বিজিবির অভিযানে ১৩৩ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩৩ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ কেজি ৫১২ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ হাজার ৫৪৪টি শাড়ি, ৫ হাজার ১৪০টি কাপড়, ৩ হাজার ৪৭২টি তৈরি পোশাক, ১৯ হাজার ৩১৪ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ৫২ হাজার ২৯টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৫ হাজার ৪৪৩টি ইমিটেশন সামগ্রী, ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৫১টি আতশবাজি, ১৭ হাজার ৫২৩ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ১৫১ কেজি চা পাতা, ৯২ হাজার ৪৮৭ কেজি সুপারি, ৫৩ হাজার ৪০ কেজি চিনি, ২০ হাজার ৪৪২ কেজি সার, ২৯ হাজার ৯৮৫ কেজি কয়লা, ১০০ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৩৪১টি মোবাইল, ১৭ হাজার ৬৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৬ হাজার ৫৪০টি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ১৫,১১২টি চশমা, ৬ হাজার ৫৪৩ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৫ হাজার ৯৬০ কেজি ভোজ্য তেল, ১০১০ লিটার ডিজেল/অকটেন, ১ হাজার ৫২৬ কেজি পিঁয়াজ, ৮ হাজার ৮২৬ কেজি রসুন, ২০ হাজার ৬৪২ কেজি জিরা, ১১ হাজার ২৩৬ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৫০ হাজার ১৯১ কেজি ফুচকা, ৯ হাজার ১৭৯ কেজি মাছ, ৫০ হাজার ৬০৩ পিস চিংড়ি মাছের পোনা, ৯৩৪ কেজি কফি, ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৩ পিস চকোলেট, ১ হাজার ১৩১টি গরু/মহিষ, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৩টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ১৫টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯২টি নৌকা, ২৬টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৭২টি মোটরসাইকেল এবং ২২টি বাইসাইকেল।

আরো পড়ুন:

ঘাস খেতে খেতে সীমান্তের ওপারে ১০ গরু, ফেরত দিল বিএসএফ

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে আরো ২৩ জনেকে ঠেলে দিল বিএসএফ

উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি দেশীয় পিস্তল, ৫টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ৯মি.মি. পিস্তল, ২টি শট/পাইপ গান, ৫টি ম্যাগাজিন, ৪টি ককটেল, ২৪টি গুলি এবং ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড।

এছাড়া গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৬৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ কেজি ৯৩৫ গ্রাম হেরোইন, ২৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১ কেজি ৪১০ গ্রাম কোকেন, ১০ হাজার ৫২১ বোতল ফেনসিডিল, ৮ হাজার ৯৮৩ বোতল বিদেশি মদ, ৭১.২৫ লিটার বাংলা মদ, ৮১৩ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯১৩ কেজি ৬৩০ গ্রাম গাঁজা, ২ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩০ হাজার ১১৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৫৪ ঞাজার ৩৪৭ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৫ বোতল এলএসডি, ২০ হাজার ৪৯৩টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৭৩৭টি এমকেডিল/কফিডিল এবং ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৪ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৫ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৩৯০ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ