বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় এ কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাকৃবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং পশুপালন অনুষদের আওতাধীন তিনটি অঞ্চলের মোট ২২টি কক্ষে ১ হাজার ২৯৬ জন পরীক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী; যার শতকরা হার ৮৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল্লাহ ও প্রক্টোরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্যরা।

সর্বিক বিষয় জানিয়ে বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়েছে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ