চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘গরু জবাই’ করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার পাইলিংমোড় এলাকায় একটি ‘গরু জবাই’ করার মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

আনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, সীমান্তে হত্যা ও ফারাক্কার পানির নায্য হিস্যার দাবিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়। রবিবার সকালে শিবগঞ্জের মডেল হাইস্কুল মাঠে ৬টি যাত্রীবাহী বাস প্রবেশ করে। এসব বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীরা নয় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার পেছনে রয়েছে সন্ত্রাসীরা: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

ঢাকা-দিল্লির পাল্টাপাল্টি তলব

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভটি পাইলিংমোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি ‘গরু জবাইয়ে’র মাধ্যমে লংমার্চের অর্ধেকশ কর্মসূচি শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ, আমজনতার নেতা মাসুদ জাকারিয়া, শহিদুল হক মিন্টু, তারেক রহমান, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান, হেফাজতের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নাইমুল হাসান ও হেফাজতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইসহাকসহ অন্যরা।

আমজনতার সংগঠনটির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জবাসী বিএসএফের মুখোমুখী হয়ে প্রতিবাদ করেছে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। তাদের এই সাহসে আমরা অনুপ্রেরণা হয়ে তাদের সাধুবাদ জানাতে এসেছি। আমারও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে এখানে লংমার্চে এসেছি। ভারত গরু রাজনীতির মধ্যদিয়ে মুসলিমদের নিপিড়ন করে। গরু খাওয়ার অপরাধে মুসলিমকে মারধর করে। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই জিয়াফত। এই জিয়াফত একটি ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি।”

তিনি আরো বলেন, “গরু জবাইয়ের মাধ্যমে লংমার্চের আংশিক কর্মসূচি শেষ করা হয়। পরে এদিন সন্ধ্যায় সীমান্তে বিএসফের বুরেটে নিহতদের নাম সম্বলিত ফানুস উড়ানো হবে। এসব ফানুস ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়বে। তখন তারা জানতে পারবে আমাদের এই ভারতীয় আগ্রাসের প্রতিবাদ।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ/শিয়াম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ব্যাপক প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের এসব অসাধু চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী পাঠানোর কথা বলে সেখানে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ও নগদ টাকা সংগ্রহ করছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী নেওয়ার জন্য বর্তমানে মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো চুক্তি বা সমঝোতা নেই। এ ছাড়া সাবাহ প্রদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগর কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এ জন্য সাবাহ প্রদেশ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের প্রতারক চক্রের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হতে এবং এদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হলে সেটি কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ