Samakal:
2025-09-18@11:42:54 GMT

দৌলতপুরে যুবককে গুলি করে হত্যা

Published: 11th, February 2025 GMT

দৌলতপুরে যুবককে গুলি করে হত্যা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গুলি করে রাজু (২০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মানদীর চরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজু ওই ইউনিয়নের ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে কী কারণে কে বা কারা তকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও এলাকাবাসীর ধারণা, এলাকায় মাদক ব্যবসা ও বালু মহলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

নিহতের স্বজনরা জানান, একই গ্রামের মতলব কসাইয়ের ছেলে সজীব সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত ১টার দিকে রাজুকে গুলি করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারে। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।

এলাকাবাসী জানায়, চরাঞ্চলের ত্রাস সাঈদ বাহিনীর সহযোগী হিসেবে এক সময় কাজ করতেন নিহত রাজু। চরাঞ্চলে বালু, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন সাঈদ বাহিনীর সদস্যরা। এ বাহিনীর সঙ্গে এখন রাজু কাজ করেন না। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে রাজু চলাফেরা করতেন। এ কারণে সাঈদের লোকজন তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। রাজুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পূর্বেকার ঘটনার জের থাকতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। 

স্থানীয় আরেকটি সূত্রের দাবি, নিহত রাজু মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাদক লুট করতে গিয়ে চোরাকারবারিদের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। 

নিহতের স্বজন ও মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে সাঈদ বাহিনীর লোকজনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। হত্যার পরে তাকে গুলি করা হয়েছে বলে তার দাবি।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, রাত সোয়া ১টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজুকে দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সজীব নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা