সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে চিত্রনায়িকা পপি ও তার পরিবারকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি থানা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এলো অভিনেত্রী রুনা খানের বাবার সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়। তবে এখানে দ্বন্দ্ব নয়, সঠিকভাবে তার বাবার সম্পতি ভাগ করেছেন তাঁর ভাই তুহিন খান।

বিষয়েটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান নিজেই। ফেসবুক স্ট্যাটাসে রুনা খান জানান, তার বাবার ২৫ কাঠার একটি জমি ছিল। সে জমি বিক্রির টাকা তার ভাই তাকে অর্ধেক বুঝিয়ে দিয়েছে।

রুনা লিখেছেন, ‘তুহিন বয়সে আমার দেড় বছরের ছোট, কিন্তু পড়াশুনায় ৫ বছর পেছনে! আম্মা-আব্বু আমাকে ৫ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে সরাসরি ক্লাস টুতে ভর্তি করান। আর তাকে ৫ বছরে প্লে-গ্রুপ থেকে ক্লাস-টু উঠতে উঠতে তার বয়স ১০।’

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘তিনি যখন ইডেনে অনার্সে ভর্তি হন তখন তার ভাই ৯ম শ্রেণিতে পড়েন। পারিবারিক বাস্তবতায় রুনাকে টিউশনি করে পড়াশোনা করতে হয়েছে, সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সংসারের পিছনে রুনার অবদান ভুলেননি তার ভাই। জমি বিক্রির টাকা ভাগ করার সময় সবাই তুহিনকে বলেছে, তোমার সম্পত্তি এক টাকা হলে রুনার দশ টাকা। ও তোমার চেয়ে দশগুণ আয়ও করে। জবাবে তুহিন বলেছেন, রুনার আমার থেকে ১০ গুন বেশি আছে তাই অর্ধেক দিলাম, নইলে ওকে পুরাটা দিতাম। বাপের ২৫ কাঠা জমি যে ২৫ বছর আগেই বেঁচে খেতে হয়নি, তার কারণ রুনা।’

রুনা লিখেছেন, ‘আব্বুর রিটায়ার করার পর কোন একটা আত্মীয়-স্বজন ১ টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি, রুনা জীবনে ১ টা টাকা কারোর কাছে সাহায্য চায়নি, ধার করেনি। ১৮ বছর বয়স থেকে টিউশনি করে নিজে চলেছে-সংসার চালিয়েছে-আমাকে মানুষ করে! এইজন্যই তো এই জমি আছে, নইলে তো জমি কবেই বেঁচে খেতে হতো! আব্বুর জমির পুরাটা ওর ভাগ। ওর অনেক আছে তাই ওর ভাগ থেকে অর্ধেক আমি নিলাম।’

রুনা সবশেষে লেখেন, ‘আমি যা করেছি তা এই দেশের বহু মেয়ে হয়তো পরিবারের-ভাইয়ের জন্য করে। তবে আমার ভাই যা করলো গত সপ্তাহে, তা এই দেশের কয়জন ভাই বাপের সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে বোনদের সাথে করে, তা ঠিক জানি না। আমার থেকে শেখার তেমন কিছু না থাকলেও, আমার ভাইয়ের থেকে এদেশের ছেলেরা শিখতে পারেন। মনে মনে হাসি আর ভাবি, অর্থ-বিত্ত-বিখ্যাত না হলেও ভাই আমার মানুষ হয়েছে। সত্যিকারের মানুষ!’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নেতা হতে আসিনি, সেবা করতে মাঠে আছি : মুজাহিদ মল্লিক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার প্রচারপত্র জনসাধারণের মাঝে বিলি করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ১নং সহসভাপতি ও জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মুজাহিদ মল্লিক ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাবুবাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন তিনি। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩১ দফা হলো দেশ গড়ার, নতুন বাংলাদেশ করার আধুনিক ও মানসম্মত পরিকল্পনা। আমরা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সব নির্যাতন সয়ে মাঠে ছিলাম। ভবিষ্যতে থাকব। সোনারগাঁবাসীর

উন্নয়নে কাজ করব।নিজ এলাকার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেব। নেতা হতে আসিনি, সেবা করতে মাঠে আছি। 

এই সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফা,জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ভুঁইয়া (সাবেক মেম্বার),সহসভাপতি ওসমান মিয়া (সাবেক মেম্বার), ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন বাবু,সোনারগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল রাহিম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ