বলিউড তারকা যুগল রাজকুমার রাও-পত্রলেখা। প্রায় এক যুগ প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল। দাম্পত্য জীবনে দারুণ সময় পার করছেন তারা। সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে এ জুটি জানিয়েছেন— তাদের সম্পর্কের প্রাথমিক ভিত্তি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধা।

রাজকুমারের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন বর্ণনা করতে গিয়ে পত্রলেখা বলেন, “আমরা শুরু থেকেই একমত ছিলাম যে, আমাদের সম্পর্কের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ছোট-বড় যাই হোক, সবকিছুই ভাগ করে নেব। এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিত্যদিনের বাড়ির কাজগুলোও ভাগ করে নিই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— রান্না করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন মাজা ইত্যাদি।

রাজকুমার সাংসারিক কাজে সহায়তা করে থাকেন। এ তথ্য উল্লেখ করে পত্রলেখা বলেন, “সে ভীষণ গুছিয়ে কাজ করে। বাড়ির ছোটখাটো জিনসপত্র কোথায় রাখা থাকে, সেটাও সে জানে। আমি রান্না করতে ভালোবাসি আর রাজকুমার থালাবাসন ধুয়ে সবসময় আমাকে সাহায্য করে। এই ছোট ছোট কাজগুলো ভাগ করে নেওয়াই আমাদের আরো কাছে নিয়ে আসে। আমরা সমতায় বিশ্বাস করি আর কাজেও সেটা প্রতিফলিত হয়।”

আরো পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের শুটিংয়ের পর কেন কেঁদেছিলেন মাধুরী?

সালমানকে নিয়ে অ্যাটলির নয়া মিশন, বাজেট ৭০০ কোটি টাকা!

স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজকুমার বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি, ছোট ছোট কাজ থেকেই সমতার সূচনা। পত্রলেখা যখন রান্নার কাজ করে, তখন আমি বাসন মাজতে ভালোবাসি। অথবা যখন ও বাইরে থাকে, তখন আমি বাড়ির টুকটাক কাজ করে থাকি। এটা পরস্পরের জীবনকে সহজ করার একটা বড় উপায়। আমাদের কাছে এটা নম্বর তোলার বিষয় নয়। বরং এটা একে অপরের পাশে থাকার ব্যাপার।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ