ছবি তুলতে গেলে চটেন শম্ভু, বলেন ‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই’
Published: 12th, February 2025 GMT
ছবি, ভিডিও করতে যাওয়ায় আদালতপাড়ায় সাংবাদিকের ওপর চটেছেন বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই।’’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপ্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন আশুলিয়া থানার এক হত্যা মামলায় ডা.
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
প্রথমে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলামের আদালতে শুনানির জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে যান। তা দেখে চটে যান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। বলেন, ‘‘ব্যাডা, এতো ছবি উঠাও। কোনো কাম নাই। একবার উঠালেই তো হয়। এতো ছবি দিয়ে কী হবে।’’
এরপর তিনি বেসরকারি এক টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনের কাছে জানতে চান, ‘‘এ কোন টেলিভিশন।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন জানান, ‘‘নিউজ টুয়েন্টিফোর।’’
এরপর তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে যখন তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই ক্যামেরাপারসনকে উদ্দেশ করে শম্ভু বলেন, ‘‘এতো ছবি তোলোস কেন?’’ পরে আবার বলেন, ‘‘এই ভালো করে উঠাস, যেন টিভিতে দেখাস।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন বলেন, ‘‘এতদিন দেখেননি?’’ তিনি বলেন, ‘‘না দেখিনি।’’
পরে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডা. এনামকে নেওয়া হয় সাভার থানার সাত হত্যা মামলার শুনানিতে।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালত ৬ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।