সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার, ছাড়া পাওয়ার পর ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ
Published: 15th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল হাসান ওরফে রনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমের কাছেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ছাত্রলীগের আর কোনো কার্যক্রমে নিজেকে জড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
রকিবুল হাসান ত্রিশাল পৌরসভার দরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। পৌর ছাত্রলীগের এই সভাপতি সরকার পতনের পর গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ১২ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
পদত্যাগপত্রে মো.
রকিবুলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বের হলেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন রকিবুল। এ কারণে পরিবার ও স্বজনেরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। ওই অবস্থায় গ্রেপ্তার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি থেকে বাঁচতে রাজনীতি থেকে সরতে চাপ শুরু করে পরিবার।
রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা শুধু কান্নাকাটি করে। উদ্ভূত পরিস্থিতে পারিবারিক সমস্যায় পদত্যাগ করেছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদত য গপত র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি
আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।
ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি
জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।
ঢাকা/এমআর/রফিক