আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাত আয়োজিত এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাতের সময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাজারো মুসল্লি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৮ মিনিটে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়। এর আগে, ১২টা ৩৮ মিনিটে মোনাজাত শুরু করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
এর আগে ফজরের পরের বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় হেদায়েতের বয়ান শুরু হয়। হেদায়াতি বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
প্রসঙ্গত, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার (সাদ পন্থি) দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে একই ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জোবায়ের পন্থিদের প্রথম পর্বের দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ