বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আর্থিক সহায়তা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্
Published: 16th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ফের বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডজ) এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে একের পর এক আদেশ জারি করছেন।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জরুরি সম্মেলনে বসছেন ইউরোপীয় নেতারা
সরকারের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা
রবিবার মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডজ) তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মার্কিন অনুদান বাতিলের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পোস্টে বলা হয়, “মার্কিন করদাতাদের ডলার নিচে উল্লেখিত জিনিসপত্রের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে, যার সবকটি বাতিল করা হলো।
এর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও রয়েছে। এছাড়া ভারতের ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডজ) যেসব অনুদান বাতিল করেছে তার মধ্যে রয়েছে-
* বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী করার জন্য’ ২৯ মিলিয়ন ডলার।
* ভারতের ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার।
* নেপালের ‘আর্থিক’ ও ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ’ এর জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার।
* মোজাম্বিকের ‘স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা পুরুষ খৎনার’ জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার।
* লাইবেরিয়ার ‘ভোটার আস্থা’ এর জন্য ১.
* মালির ‘সামাজিক সংহতির’ জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার।
* দক্ষিণ আফ্রিকার ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র’ এর জন্য ২.৫ মিলিয়ন ডলার।
* এশিয়ায় ‘শিক্ষার ফলাফল উন্নত করার’ জন্য ৪৭ মিলিয়ন ডলার।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপ ডোজের সরকারি ব্যয় পুনর্গঠনের চলমান প্রচেষ্টার অংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যয় কমানোর জন্য ইলন মাস্ককে ‘ডজ’ এর দায়িত্ব দিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইলন ম স ক ব ত ল কর র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু, চাঁদপুরের মাছঘাটে কর্মব্যস্ততা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে। কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।
মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে। তাছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।
পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল, সেলিম, মনির হোসেন বলেন, ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি। নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া, পাঙাশ, চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি। তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে। এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি। ‘কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন? কয়জনে কিনবো? আমরা বেঁচমো কতো?’
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, এখন নদীতে পানি কম। স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।
চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে। দাম শুনেই ফিরে গেলেন। তিনি সমকালকে বললেন, ‘আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’