চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার বিকেলে নগর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে মারধর করল যুবদল-ছাত্রদল

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, ওসি প্রত্যাহার

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ নেত্রী ও ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা লিমা (৪০), মো.

শাহাদাৎ হোসেন অনি (২৪), শুভ মল্লিক (২৯), ওসমান গনি রনি (২৮), মো. সুরুজ (২০), বাকলিয়া থানা আওয়ামী ওলামালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ (৫৫), মো. খোরশেদ আলম (৪৫), মো. মিজবাহ হোসেন জিফাত (২৫), হাবিবুর রহমান জুয়েল (২৭), হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম (২৯), ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আশিক (৩৫), বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন (৪৩), মো. হারুন অর রশিদ ধ্রুব প্রকাশ জনি (৩০), মো. মুন্না (২১), মো. ইকবাল (২১), চকবাজার থানার সাজু বিশ্বাস (২৪) ও  সাইফুল ইসলাম (১৯)। 

অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাঁচলাইশ থানার মো. ফয়েজ সিকদার (২২), সৈয়দ মো. আশরাফুল হক সিফাত (২২), সৈয়দ মো. আসাদুল হক আসাদ (১৯), চান্দগাঁও থানার মো. মুরাদ মিয়া (৩৮), রতন মিয়া ওরফে আরজু (৪২), হালিশহর থানার মো. রাজ্জাক আশরাফি ওরফে প্রকাশ রাজ (৩২), ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. গোলাম শরিফ তুষার (৩৪), মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩৯), মো. ইমরান (৩২), মো. শফিউল আলম (৪৯), ইফরাত নুর, মো. খোকন (৩৯), প্রিয়া মনি (১৯), বন্দর থানার মো. নয়ন (৩০), খুলশী থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সুমন (৩৪), মো. আব্দুল মান্নান (৫৫), আকবরশাহ থানার নাজীম উদ্দিন (৩৪), ইপিজেড থানার শওকত ইসলাম (২৬), বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ওরফে প্রকাশ মাটি (৩৭), পতেঙ্গা মডেল থানার মো. ওমর আলী (২৮) এবং কর্ণফুলী থানার আসামি ইসলামিয়া কলেজের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. রাকিব। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা, সন্ত্রাসী বিরোধী ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে

দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার এই মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন অধ্যাপক সাত্তার। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এ মামলার অপর দুই আসামি যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন। 

অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। তদন্ত শেষে তিনজনকেই অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দেয় সংস্থাটি।
 
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক দুই উপাচার্য আব্দুস সাত্তার, আনোয়ার হোসেনসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের আরও একটি মামলা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ