মেরুদণ্ডের বাতরোগ

মেরুদণ্ডের বাতরোগকে সাধারণ ভাষায় বলে ‘স্পন্ডাইলো-আর্থোপ্যাথি’। মেরুদণ্ডে যেকোনো রকমের প্রদাহ হলে বলে ‘স্পন্ডালাইটিস’। নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে, তবে তুলনামূলকভাবে পুরুষদের বেশি হয়। হাত-পায়ের অন্যান্য বাতরোগ বা আর্থ্রাইটিস আবার নারীদের বেশি হয়। আরেকটি ভিন্ন দিক হচ্ছে, তুলনামূলক তরুণ বয়স থেকে এটি শুরু হতে পারে। এই রোগের কারণ হতে পারে বিভিন্ন। বংশগত বা জেনেটিক ত্রুটি ও পারিবারিক ইতিহাস অনেকাংশে ভূমিকা রাখে।

লক্ষণ

মেরুদণ্ডের বাতরোগে যে লক্ষণ বেশি দেখা যায়, সেটি হলো কোমর বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা। ব্যথার পাশাপাশি অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে মেরুদণ্ড ও এর সংলগ্ন অংশ অসাড় অনুভব করেন। অনেকে ঘাড়ব্যথা ও ঘাড় শক্ত অনুভব করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বড় অস্থিসন্ধি, যেমন হাঁটু, গোড়ালি ও কনুইয়ে ব্যথা হতে পারে ও ফুলে যেতে পারে। কিছু কিছু রোগীর মেরুদণ্ড আক্রান্ত হওয়ার আগে এসব অস্থিসন্ধিতে আক্রান্ত হয়। কারও কারও পায়ের পাতা, টেন্ডনেও ব্যথা ও প্রদাহ হতে পারে।

কীভাবে মেরুদণ্ডের গড়ন পরিবর্তন করে এই বাতরোগ

মেরুদণ্ডে থাকে কশেরুকা আর মাঝখানে থাকে ডিস্ক, এসবকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় মেরুদণ্ডের হাড়। মূলত কশেরুকার হাড়গুলোতে প্রদাহ হয় এ রোগে। এর সংলগ্ন তন্তু, লিগামেন্ট, টেন্ডন—এসবেও প্রদাহ হয়ে গঠনগত পরিবর্তন হয়। ফলে দেখা যায় মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একটির সঙ্গে আরেকটি জোড়া লেগে যায়; কিছু হাড় প্রবর্ধিত হয়। অনেক সময় হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এসব পরিবর্তন ঘটায় মেরুদণ্ডের হাড় বেঁকে যায়, কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক যে স্বাভাবিক গঠন থাকে, সেটিও পরিবর্তন হয়ে যায়।

করণীয়

এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক প্রথমে লক্ষণ অনুযায়ী বাতরোগ নিশ্চিত করবেন ও সেটির ধরন বুঝে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। আধুনিক চিকিৎসায় ব্যাপক পরিবর্তন আসায় এ ধরনের বাতরোগ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে রোগগুলো যত আগে নির্ণয় করা যায়, চিকিৎসায় তত দ্রুত উন্নতি সম্ভব।

আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এ ধরনের বাতরোগে শরীর সচল রাখা খুব জরুরি। এসব রোগের চিকিৎসায় শারীরিক ব্যায়াম, সাইক্লিং ও সাঁতার জরুরি।

আরও পড়ুনকোলন ও পাকস্থলীর ক্যানসার ঠেকাতে যেসব অভ্যাস করতে হবে১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)

এশিয়া কাপে আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি, নাপোলি, বার্সেলোনা।

সিপিএল: কোয়ালিফায়ার-১

গায়ানা-সেন্ট লুসিয়া
সকাল ৬টা, স্টার স্পোর্টস ২

এশিয়া কাপ ক্রিকেট

আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা
রাত ৮-৩০ মি., টি স্পোর্টস ও নাগরিক

অ্যাথলেটিকস

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
বেলা ৩টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

কোপেনহেগেন-লেভারকুসেন
রাত ১০-৪৫ মি., সনি স্পোর্টস ২

ম্যানচেস্টার সিটি-নাপোলি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

নিউক্যাসল-বার্সেলোনা
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

ফ্রাঙ্কফুর্ট-গালাতাসারাই
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ