প্রশ্নটি যেকোনো আর্জেন্টাইনকে করলে উত্তর দুটি নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে—ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি। প্রশ্নটি কী, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন—সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে?

মরিসিও পচেত্তিনোও আর্জেন্টাইন। পেশায় কোচ হওয়ায় ফুটবলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেকোনো আর্জেন্টাইন সমর্থকের চেয়ে প্রগাঢ়। যুক্তরাষ্ট্রের ছেলেদের জাতীয় দলের এই কোচকে এমন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করা হয়েছিল, যেখানে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মেসির বিষয়ে তিনি আর দশজন আর্জেন্টাইনের মতো নন।

আরও পড়ুনইউনাইটেড ভুগছে গোলখরায়, ধারে গিয়ে আন্তনি যেন গোলমেশিন৫ ঘণ্টা আগে

আর্জেন্টাইনদের চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয় ম্যারাডোনা, নয় মেসি। পচেত্তিনোকে সরাসরি এ প্রশ্ন করা হয়নি। ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কম তাঁর অধীন খেলা কিছু খেলোয়াড়ের নাম বলেছেন, পচেত্তিনো তাঁদের কোন চোখে দেখেন তা এক শব্দে বর্ণনা করেছেন। সে বর্ণনায় বোঝা গেল, মেসি হতে পারেন অনেকের চোখেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার, কিন্তু পচেত্তিনোর চোখে তাঁর অধীন খেলা ফুটবলারদের মধ্যেও সেরা নন!

ম্যারাডোনাকে নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে কিছুদিন সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন পচেত্তিনো। ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি বুট তুলে রাখার দুই বছর পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক। ২০০৯ সালে পচেত্তিনো কোচিংয়ে নামার পর বিশ্বের সেরা কিছু খেলোয়াড় তাঁর অধীন খেলেছেন—টটেনহামে হ্যারি কেইন ও পিএসজিতে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার। স্বাভাবিকভাবেই পচেত্তিনোর মুখে মেসির নামটা উঠে আসবে, এই প্রত্যাশা ছিল সবার।

মার্কো ভেরাত্তি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ