Samakal:
2025-11-03@03:05:24 GMT

২৯ বছর অপেক্ষার অবসান

Published: 18th, February 2025 GMT

২৯ বছর অপেক্ষার অবসান

ক্রিকেট পাকিস্তানে কেবল একটি খেলা নয়; এটি তাদের উত্তরাধিকার, আবেগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই খেলাটিকে অবলম্বন করে দিন কাটাচ্ছে, জাতি গঠনের হাতিয়ারও এই ক্রিকেট। করাচির ঘিঞ্জি চায়ের ধাবা থেকে শুরু করে লাহোরের অলিগলি, ইসলামাবাদের জৌলুস কিংবা বেলুচিস্তানের পাহাড়ঘেরা ছোট্ট গাঁয়ে ক্রিকেটই প্রধান উপজীব্য। সেই পাকিস্তানে ২৯ বছর পর আইসিসি ইভেন্ট হতে যাচ্ছে, তাই সাজসাজ রব তো পড়বেই।

রোববার রাতে লাহোরে যার কিছুটা দেখা মিলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর দু’দিন আগে ঐতিহাসিক লাহোর ফোর্টে ‘দেওয়ান-ই-খাস’ নামক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আসরের পর্দা উন্মোচন হয়েছে। ক্রিকেটীয় নানা বিষয়ের পাশাপাশি কনসার্ট, আতশবাজি, আলোর খেলায় মোহনীয় হয়ে উঠেছিল লাহোর দুর্গ। ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

লাহোর ফোর্টে জাঁকজমকপূর্ণ পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠানে আসন্ন টুর্নামেন্টের দারুণ একটি প্রিভিউ নানা বর্ণে ফুটিয়ে তোলা হয়। আলোক ছটায় দুর্গের সদর দরজায় মোহনীয়ভাবে ভেসে উঠছিল সবকিছু। সেখানে একটা বড় অংশজুড়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ছিল। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আয়োজন, যেখানে আবার ভারতকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন সরফরাজ খানের নেতৃত্বাধীন ২০১৭ সালের ট্রফিজয়ী দলের সদস্যরা। মঞ্চে তুলে ধরা হয় পাকিস্তানের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

পাকিস্তানে সর্বশেষ আইসিসি ইভেন্ট হয়েছিল ১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের সঙ্গে ওই আসরের যৌথ আয়োজক ছিল তারা। এর পর নিরাপত্তা ইস্যু, রাজনৈতিক অস্থিরতা পাকিস্তান থেকে ক্রমেই হারিয়ে যেতে থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সে কফিনে যেন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল। এর অনেক বছর পর পাকিস্তানে ফিরে ক্রিকেট। দুই বছর আগে এশিয়া কাপ দিয়ে তারা কোনো আন্তর্জাতিক আসর আয়োজন করেছিল। আর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে পাকিস্তানে পুরোদমে ফিরছে ক্রিকেট। 

বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখানোর মওকাও এই আসর। যদিও ভারত এই আসর খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে না বলে কিছুটা অপূর্ণতা থাকছেই। তার পরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন পাকিস্তানের জন্য বিরাট কিছু। তাই তো লাহোরের পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভী বলেন, ‘এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ২৯ বছর পর পাকিস্তানে আইসিসি ইভেন্ট ফিরছে। তাই এই আসর আমাদের কাছে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়েও বড় কিছু। পাকিস্তানের আতিথেয়তা ও ক্রিকেটের ভালোবাসা দেখানোর এটি দারুণ একটি সুযোগ।’

লাহোর ফোর্টে এই ঐতিহাসিক আয়োজনের পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতি অবদানের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন নাকভী। একই সঙ্গে পাকিস্তানি দর্শকদের মাঠে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি, ‘এখন স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ করার দায়িত্ব হলো আপনাদের।’ 

তবে এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে একটি বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ বিতর্কও দেখা গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়া ৮ দলের মধ্যে ৭ দলের পতাকা লাহোর স্টেডিয়ামে দেখা গেলেও ছিল না ভারতের পতাকা। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ভারত তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে না। তারা দুবাইয়ে আসরের সব ম্যাচ খেলবে। সে জন্যই হয়তো পিসিবি তাদের পতাকা রাখেনি। এ ব্যাপারে অবশ্য পিসিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ই আসর

এছাড়াও পড়ুন:

জেমাইমার কান্নার ম্যাচে টুপটাপ ভাঙল রেকর্ডও

নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারত জয় তুলে নেয় ৯ বল হাতে রেখে। নারী বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে এ ম্যাচে। আসুন, দেখে নিই।৩৩৯

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় ভারতের লক্ষ্য। নারী বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। এবারের নারী বিশ্বকাপের বিশাখাপত্তনমে ভারতের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল রাতে নতুন রেকর্ড গড়েছে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডেতে এর আগে সর্বোচ্চ ২৬৪ রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। তবে মেয়েদের বিশ্বকাপে ভারত এর আগে কখনো ন্যূনতম ২০০ রান তাড়া করে জিততে পারেনি।

১৫

নারী বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার টানা ম্যাচ জয়সংখ্যা। গতকাল রাতে হারের আগে সর্বশেষ ২০১৭ নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। নারী বিশ্বকাপে এটা যৌথভাবে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটিও ছিল অস্ট্রেলিয়ার (১৯৯৩-২০০০)।

৬৭৯

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান। নারী বিশ্বকাপে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ। ২০১৭ সালে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ম্যাচে উঠেছিল ৬৭৮ রান।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত১১ ঘণ্টা আগে৩

ছেলে ও মেয়েদের ওয়ানডে মিলিয়ে নকআউট ম্যাচে ৩০০–এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের নজির। আগের দুবার এই নজির গড়েছে ভারতের ছেলেদের ক্রিকেট দল। ১৯৯৮ সালে ইনডিপেনডেন্স কাপের তৃতীয় ফাইনালে পাকিস্তানের ৩১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রান তাড়া করে জেতে ভারত।

১২৭*

নারী ওয়ানডেতে রান তাড়ায় ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, যেটা গতকাল রাতে খেলেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। গত মাসে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন স্মৃতি মান্ধানা।

৭৭

ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করতে অস্ট্রেলিয়ার ফোবে লিচফিল্ডের খেলা বলসংখ্যা। মেয়েদের ওয়ানডেতে নকআউট ম্যাচে এটা দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেন হারমানপ্রীত কৌর। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ন্যাট শিভার-ব্রান্টও ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেন।

২০২৫ সালে মেয়েদের এই বিশ্বকাপ ফাইনালই প্রথম ফাইনাল যেখানে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মধ্যে কাউকে দেখা যাবে না। আগের সব কটি বিশ্বকাপের ফাইনালেই এই দুই দলের মধ্যে কেউ না কেউ ছিল।

আরও পড়ুনবোলাররা ভাসান, ব্যাটসম্যানেরা ডোবান—আজ কী করবে বাংলাদেশ৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা
  • জেমাইমার কান্নার ম্যাচে টুপটাপ ভাঙল রেকর্ডও