সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে ভবন থেকে পড়ে সাগর মাতুব্বর (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সৌদি সময় বিকেল ৩টা এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় তিনতলা ভবনের বারান্দায় কাজ করার সময় নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাগর মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফ মাতুব্বরের ছেলে। সাগরের মৃত্যুর সংবাদ দেশে পৌঁছালে তার পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে শোকের মাতম শুরু হয়। 

তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য টিটো মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাগর মাতুব্বর মাত্র ৩-৪ মাস আগে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে যান এবং সেখানে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ভালো বেতনে কাজ করছিলেন। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় জানতে পারলাম যে, তিনতলা ভবনের ওপর কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে তিনি মারা গেছেন।

নিহতের পরিবার জানিয়েছে, দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সাগর ছিলেন সবচেয়ে বড়। তিনি পরিবারের জন্য বড় সহায়ক ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বাবা-মা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন সাগর মাতুব্বরের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স ব ল দ শ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল

লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ

কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।

সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।

গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।

৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।

প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।

রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।

বিস্তারিত আসছে…।

সম্পর্কিত নিবন্ধ