চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: উদীয়মান ও গেম চেঞ্জার হতে পারেন যারা
Published: 19th, February 2025 GMT
আট বছর পর মাঠে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নেমেছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে দীর্ঘ সময় পরে আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়নও তারা। পাকিস্তান তাই শিরোপা ধরে রাখতে চাইবে।
ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। দুবাইতে পুরো টুর্নামেন্ট খেলবে তারা। যে কারণে কন্ডিশনের সুবিধা অন্য দলের চেয়ে বেশি পাবে। অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শিরোপা প্রত্যাশি তারাও। ফর্ম বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন দলে গেম চেঞ্জার হতে পারেন কারা। সেরা উদীয়মান হতে পারেন কারা এবং সাবেকদের চোখে কোন দল ফেবারিট তা তুলে ধরা হলো:
আট দলের আট উদীয়মান: জাকের আলী (বাংলাদেশ), তায়েব তাহির (পাকিস্তান), বরুণ চক্রবর্তী (ভারত), টম ব্যান্টন (ইংল্যান্ড), ত্রিস্তান স্টাবস (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যারন হার্ডি (অস্ট্রেলিয়া), উইল ও রোওর্কি (নিউজিল্যান্ড), নুর আহমেদ (আফগানিস্তান)।
কার চোখে কে ফেভারিট: মোহাম্মদ ইউসুফের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফেবারিট পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। রবি শাস্ত্রী ভারতকে ফেবারিট বলবেন জানা কথা। তবে পাকিস্তানকেও ফেবারিট হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। রিকি পন্টিংয়ের চোখে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত টুর্নামেন্ট জিততে পারে।
গেম চেঞ্জার হতে পারেন যারা: মেহেদী হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ), ফখর জামান (পাকিস্তান), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), বেন ডাকেট (ইংল্যান্ড), হেনরি ক্লাসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), রহমতউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান)।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫