টানা ১১ ওয়ানডেতে টস হেরে ভারতের রেকর্ড
Published: 20th, February 2025 GMT
টসের কয়েনটা মাটিতে পড়ার পর রোহিত শর্মা কী আর ফলের জন্য অপেক্ষা করেন? না করলেও তো হয়। ভারতের অধিনায়ক রোহিতের টসের ফল তো জানাই। প্রশ্ন করতে পারেন, টসের ফল রোহিত আগে থেকে কীভাবে জানেন?
ভারতের এই দলটা যে আসলে টস জিততেই জানে না! আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের টস হারটি ওয়ানডেতে তাদের টানা ১১তম। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ভারতের সঙ্গে রেকর্ডটিতে যৌথ মালিকানা নেদারল্যান্ডসের।
টস-ভাগ্য যে ভারতের অধিনায়কদের মধ্যে যে শুধু রোহিতেরই খারাপ, তা নয়। লোকেশ রাহুলও এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রোহিতের অবর্তমানে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অধিনায়কত্ব করেছেন রাহুল। বাকি ৮টিতে নেতৃত্ব দেন রোহিত।
ভারতের টস হারার এই চক্র শুরু হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ফাইনালে ভারত হেরেছিল ৬ উইকেটে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ভারত। আর এই চক্রের সর্বশেষ ম্যাচ আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।