সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার কমিটি গঠন
Published: 20th, February 2025 GMT
ঢাকায় বসবাসকারী সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের নিয়ে ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক, অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার কার্যনির্বাহী পরিষদের (২০২৫-২৬) কমিটি গঠন ও কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পান্থপথে রংগন টাওয়ারে সমিতির কার্যালয়ে প্রকৌশলী আবুল কাশেমকে সভাপতি ও রেজাউল হক রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি করা হয়। পরে সমিতির আগের কমিটি নব-কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো.
এছাড়া সদস্য কাজী সিদ্দীকুর রহমান, মো. আফসার আলী, আ. রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম জয়তু, মোস্তফা বকুলুজ্জামান, মরিয়ম মনসুর, এস এম আব্দুল হালিম, সরদার নূরুল হুদা, মো. আতাউর রহমান, মো. আহসানুল্লাহ রাসেল, এস এম শরীফুজ্জামান ও আশুতোষ সরকার রাজ মনোনীত হন।
সবশেষে নব-কমিটির সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গোলাম রহমান।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।