কৃষকের চেয়ে বড় প্রাইভেট সেক্টর আর হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো এবং সেমিনার ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, মুরগি পালন আগাগোড়া প্রাইভেট সেক্টরে ছিল। কৃষকের বাড়িতেই মুরগি রাখা হতো। কৃষকের চেয়ে বড় প্রাইভেট সেক্টর আর কী হতে পারে। কৃষকের বাড়িতে নারীরাই মুরগি লালন-পালন করত। এ সেক্টর আরও বড় করতে হলে নারী খামারিদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার উদ্দেশে তিনি বলেন, ফিডের ক্ষেত্রে আমরা যখন দেখি অনেক কাজ হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতেই পারি- আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনাদের এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া। আমাদের দায়িত্ব হলো ক্ষুদ্র খামারিদের রক্ষা করা। ক্ষুদ্র খামারিদের সংখ্যা বাড়লে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এখানে তাদের জীবন-জীবিকা জড়িত। ফিডের দাম বেশি তাই আসুন আমরা সবপক্ষ একত্রিত হয়ে দাম কমানোর চেষ্টা করি। আপনারাই প্রোটিন সরবরাহ করে আমাদের চাহিদা মিটাচ্ছেন।

শিশুদের নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ পোল্ট্রি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, পোল্ট্রিকে খারাপ কিছু খাওয়ানো হলে তা আবার খাদ্যের সঙ্গে মিশে মানুষের পেটে যাচ্ছে। সে জন্যই অর্গানিক ফুড বিশ্বে নতুন চিন্তার দাড় উন্মুক্ত করেছে। অগার্নিক হওয়া মানে আধুনিক হওয়া, তাই অর্গানিক আরও বেশি বৈজ্ঞানিক।

ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো.

তোফাজ্জেল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ