পাবনার সাঁথিয়ায় নয় মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি আশরাফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই যুবকের মা হাসি খাতুন মামলাটি দায়ের করেন।

ওই যুবকের ডান হাতের একটি কবজি উদ্ধার করা গেলেও আরেকটি হাতের কবজি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি।

তবে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সাঁথিয়া পৌরসভার কলেজপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলামকে আট থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত সাঁথিয়া পৌর এলাকার ডিজিটাল (টেলিফোন) এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের দেয়াল দিয়ে ঘেরা অংশে ধরে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী আশরাফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মারামারিসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আশরাফুল ইসলাম নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের একটি হাতের কবজি উদ্ধার হয়েছে এবং আরেকটি হাতের কবজি উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র দ ই হ ত র কবজ আশর ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ