সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা শাখা ছাত্রশিবিরের ওয়ার্ড সভাপতি ফজলে রাব্বি সিফাতের ওপর ছাত্রদল কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও জানায়, শিবির নেতার ওপর হামলা পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে জেরাপূর্বক ভিডিও রেকর্ডিং, থানায় আটকে রেখে আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধেও  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইদানীং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ব সময়ের মতো ভিন্নমত দমনের বিভিন্ন প্রবণতা ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত কয়েকদিনে মারধরের প্রক্ষাপট এবং ঘটনাক্রম পর্যবেক্ষণ করে ছাত্র রাজনীতিতে পূর্বের ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো সহিংসতা বহাল তবিয়তে ফেরার আশঙ্কা করছি।

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন হলেও বারবার সহিংসতামূলক ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ছাত্রদলকে সহিংসতার পথ ছেড়ে মেধা ও মননের রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানানো যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সকল মত এবং পথের ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আশা আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে “আমব্রেলা সংগঠন” হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। ছাত্র সংগঠনসমূহকে ধৈর্য্যশীল আচরণ বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও জানায়, আহত ফজলে রাব্বি সিফাতের আশু সুস্থতা কামনা করছি। বাঁধাহীনভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ভুক্তভোগী পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ এবং আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ