ছাত্রদল কর্তৃক শিবির নেতার ওপর হামলা, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ
Published: 21st, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা শাখা ছাত্রশিবিরের ওয়ার্ড সভাপতি ফজলে রাব্বি সিফাতের ওপর ছাত্রদল কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও জানায়, শিবির নেতার ওপর হামলা পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে জেরাপূর্বক ভিডিও রেকর্ডিং, থানায় আটকে রেখে আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধেও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইদানীং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ব সময়ের মতো ভিন্নমত দমনের বিভিন্ন প্রবণতা ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত কয়েকদিনে মারধরের প্রক্ষাপট এবং ঘটনাক্রম পর্যবেক্ষণ করে ছাত্র রাজনীতিতে পূর্বের ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো সহিংসতা বহাল তবিয়তে ফেরার আশঙ্কা করছি।
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন হলেও বারবার সহিংসতামূলক ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ছাত্রদলকে সহিংসতার পথ ছেড়ে মেধা ও মননের রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানানো যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সকল মত এবং পথের ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আশা আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে “আমব্রেলা সংগঠন” হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। ছাত্র সংগঠনসমূহকে ধৈর্য্যশীল আচরণ বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও জানায়, আহত ফজলে রাব্বি সিফাতের আশু সুস্থতা কামনা করছি। বাঁধাহীনভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ভুক্তভোগী পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ এবং আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী