খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, যে কোন দলের নিজস্ব মতাদর্শ থাকতে পারে। তবে দেশ, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে।

কারো মধ্যে কোন ধরণের বিভেদ থাকা চলবে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে আমরা ঐক্য চাই। খেলাফত মজলিশ ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামীলীগ ব্যতীত অন্য যে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে ঐক্য গড়তে রাজি আছে।  

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ ময়দানে জেলা ও মহানগর শাখার কর্মী সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। 

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি ইসলামের নামে বিভিন্ন সংগঠন আছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ঐক্য চাই। যদিও আমাদের মাঝে মতবিরোধ আছে কিন্তু আমাদের কাবা এক কোরআন এক মতানৈক্য থাকলে ব্যক্তিগত সেটা ভুলে যেতে চাই।

আমরা ইসলামী দলগুলো মিলে একটা বাক্স দিতে চাই। দেশের সব ইসলামী দলগুলো একটি প্লাটফর্মে এসে একটি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে ভোটাররাও স্বাচ্ছন্দের সাথে ভোট দিতে পারবেন।

এক টেবিলে বসে সমাধানের কথা উল্লেখ করে বাছিত আজাদ বলেন, যেখানে যে ইসলামী দলের অবস্থান ভালো থাকবে যেখানে আমরা অন্য কোনো ইসলামী দল প্রার্থী দিবো না। আমরা সবাই আগে এক টেবিলে বসে এ সমস্যার সমাধান করবো।

এখন পর্যন্ত আমরা কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি। একসঙ্গে না বসে আমরা কোনো প্রার্থী ঘোষণা করবো না।

কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.

আহমদ আব্দুল কাদের ও যুগ্ন-মহাসচিব সিরাজুল মামুন সহ কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ