নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন থেকে আব্দুস সত্তার (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, সত্তারকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশ প্রথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির একটি আম গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।

নিহত আব্দুস সাত্তার ফরাজি বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে।  

আরো পড়ুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত্তার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গতকাল শনিবার রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নেয়। ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সামনের একটি গাছে সাত্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই আনোয়ার বলেন, “জায়গা-জমি ও মাটি কাটা নিয়ে চাচা এছহাক, জেঠাতো ভাই হারুন ও বাবুলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। এছাড়া মাটি কাটা নিয়ে আমানিয়া ব্রিক ফিল্ডের তারেক ও আরিফের সঙ্গে আমার ভাই সাত্তারের বিরোধ দেখা দেয়। তারা এক জোট হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।”  

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “নিহতের স্বজনরা দুইজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনে আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ