এই প্রথম এনবিআর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করছে, ইতিবাচক
Published: 23rd, February 2025 GMT
আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে বড় সমালোচক। আমি শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করি। এই প্রথম আমি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম, কোনো সরকারি সংস্থা (এনবিআর) করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করছে। আমি এটিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।
আজ একই অনুষ্ঠানে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সনদ চালু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট হাব ও কাস্টমস স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ২০২৪-২০২৮ উদ্বোধন করা হয়েছে—এগুলো সবই অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ।
ইউনিলিভারের ৮০ শতাংশ কর্মী এ বছর অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছে। আমি নিজেও অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছি। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য চমৎকার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে যেসব কাজ করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। প্রক্রিয়া সহজ হলে ব্যবসা কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
সাংবাদিকেরা প্রায়ই প্রশ্ন করেন, দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এত কম কেন। এ প্রসঙ্গে আমি একটি পরিসংখ্যান দিই। সেটা হলো, গত বছর বৈশ্বিক এফডিআই ছিল ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি) ডলার। আগের বছরের তুলনায় বৈশ্বিক এফডিআই ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আমাদের দেশে এফডিআই কমেছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ; অর্থাৎ এফডিআই আকর্ষণের জন্য আমাদের সামনে এখনো অনেক সুযোগ।
আমাদের জিডিপির সাপেক্ষে এফডিআইয়ের হার ১ শতাংশের নিচে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে তা ৪ থেকে ৫ শতাংশ। সেই মানদণ্ডে পৌঁছাতে চাইলে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই আনার সুযোগ আছে এবং সেটিই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তবে সে জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশের সহজীকরণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) মতো উদ্যোগগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। অবশ্য কিছু চ্যালেঞ্জও আছে; এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা এনবিআরকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
জাভেদ আখতার: ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী