ঢাবিতে বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
Published: 23rd, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ইনোভেটিভ ফরর এ সাসটেইনেবল ফিউচার: হার্নেসিং সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি টু ট্যাকল ইমার্জিং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন মিলনায়তনে জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) এবং বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার তাকাহাশি নাওকি এবং ব্যাংককের জেএসপিএস আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. ওতানি ইওশিয়ো।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম। সিম্পোজিয়াম আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবীর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস-আল-মামুন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উদীয়মান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে বিরাজমান দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামের পাঁচটি টেকনিক্যাল সেশনে বাংলাদেশ এবং জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। টেকনিক্যাল সেশন শেষে বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে আওয়ামী দোসর সামাদ ও রনি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় পার্টনার না রাখায় স্বাদ রেস্তোরাঁ নামক একটি রেস্টুরেন্টে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের এসওরোড এলাকার ডিপো টার্মিনালে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সহযোগী সামাদ ও তার ছেলে আহাদ, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ মন্ডলের ছেলে জাহিদের সমন্ধী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রনি ওরফে বাইট্টা রনি ও তাঁদের শেল্টারদাতা যুবদলের নেতা সুপারি কামাল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁর পরিচালকগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রেস্তোরাঁর মালিক আলহাজ্ব বাচ্চু মিয়া জানান, সকল নিয়ম মেনে গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে আমি রেস্টুরেন্টটি নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেই। পহেলা ডিসেম্বর রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনের সময় সামাদের নির্দেশে সামাদের ছেলে আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রনি ও সুপারি কামালের নেতৃত্বে একশ থেকে দেড়শো জনের বাহিনী এসে জোরপূর্বক রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি বিনা পুঁজিতে তাঁদের রেস্তোরাঁয় পার্টনার রাখতে হবে। অন্যথায় তারা রেস্টুরেন্ট খুলতে দিবে না। এবিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ অবহিত হলে অভিযুক্তরা ভয়ে তালা খুলে দেন। পরে দুইদিন পর আবার সামাদের ছেলে আহাদ ও রনি ১৫/২০ জন লোক নিয়ে রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। এবিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি সামাদ ও তার ছেলে আহাদ গত ০৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যান। আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেন সচেতন নাগরিক সমাজ নামের কমিটি। এ কমিটির নামে গোদনাইল মেঘনা ডিপো নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সামাদ ও তার ছেলে। চলতি বছরের ১লা মার্চ গোদনাইল মেঘনা ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সামাদ বাহিনী। আর এতে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা আসিফের বাবা মুখলেস সহ ০৪ জন। তাঁদের এসব অপকর্ম নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এলাকায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন রনি ওরফে বাইট্টা রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল বারিক পিপিএমবার বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।