সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দেশে ভয়াবহ একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি বড় নাজুক, রাস্তাঘাট ও ঘরে এসে মানুষ কুপিয়ে যাচ্ছে, হত্যা করছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মানুষ এই অবস্থা সহজভাবে মেনে নেবে না।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর দর্শনা মোড়ে বছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড.

আব্দুল্লাহ আল মামুনের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি, গণতন্ত্রে ফিরে আসার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু বাসের মধ্যে যখন মেয়েরা লাঞ্ছিত হয়, নিগৃহীত হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রতিবাদ হয়, সুরাহা চায়, তখন মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন তখন আমরা বুঝতে পারি দেশের অবস্থা কতটা ভয়াবহ।

তিনি বলেন, আমরা এই সরকারের এখনো পদত্যাগ দাবি করিনি, কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মানুষ এই অবস্থা সহজভাবে মেনে নেবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উন্নত বাংলাদেশ করার প্রত্যয়ে ১৭ বছর নিগৃহীত হয়েছে, জেল খেটেছে, নির্মমতার শিকার হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ভূখণ্ডকে মানুষের বসবাস করার পদক্ষেপ এই সরকার নেবে, এটা আমরা প্রত্যাশা করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির পল্লী উন্নযন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর খালেক, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামসহ অনেক।

এম জি

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পর স থ ত ব এনপ র অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ