বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।

গোবিন্দর সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে দারুণ সময় পার করছেন— কিছুদিন আগেও এ কথা বলেছেন সুনীতা। আজ ভারতীয় অধিকাংশ গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে, ভেঙে যাচ্ছে এ জুটির ৩৭ বছরের সংসার। সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে কোনো কোনো গণমাধ্যম গোবিন্দর পরকীয়া সম্পর্কের তথ্য উল্লেখ করেছেন। যদিও একেক প্রতিবেদনে একেকরকম তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

গোবিন্দর সংসার ভাঙার খবরে বিস্মিত তার ভক্ত-অনুরাগীরা। যার ফলে খবরটি এখন বহুল চর্চিত বিষয়। আলোচনা-সমালোচনা চললেও এখনো নীরব গোবিন্দ-সুনীতা। এমনকি, তাদের সন্তানেরাও কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন গোবিন্দর ভাতিজি অভিনেত্রী আরতি সিং।  

আরো পড়ুন:

‘ছাবা’ ঝড়: ১১ দিনে আয় ৬২১ কোটি টাকা

২০ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে পারিশ্রমিক নিই না: আমির খান

নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরতি সিং বলেন, “সত্যি বলতে আমি এখন মুম্বাইয়ে নেই। সুতরাং আমি কারো সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারিনি। তবে এতটুকু বলছি যে, বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি ভুয়া। এসবই গুঞ্জন, তাদের দুজনের বন্ধন অনেক শক্ত, দৃঢ়। বছরের পর বছর ধরে তারা শক্তিশালী ও প্রেমময় সম্পর্কে রয়েছেন। তাহলে তারা কীভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে পারেন? আমি জানি না, মানুষ এসব গুজব কোথা থেকে পায়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত।”

আরতি সিংয়েরও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তা স্মরণ করে ‘আলাদিন’ তারকা বলেন, “বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কোনো কারণ ছাড়াই আমার বিবাহবিচ্ছেদের খবরও ছড়ানো হয়েছিল। এই ধরনের ভিত্তিহীন গুজব কেবল অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা, ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন

২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব সরকার। আগামী বছর হজে অংশ নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি যাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এর পর ৯ নভেম্বর সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি সই হবে। 

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এই রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ১৫ জুন পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৮ জুন রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। ২৬ জুলাই থেকে ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্প-সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ ও অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজ মৌসুমের ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমের জন্য পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।

প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহন চুক্তি, এয়ারলাইন্স নির্ধারণসহ ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করতে হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসারে আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেবা সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি এবং ফ্লাইট সূচি নির্ধারণ করতে হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মক্কা-মদিনার হোটেল ও পরিবহন-সংক্রান্ত অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া, যা চূড়ান্ত করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

২০২৬ সালের হজে সর্বোচ্চ দুটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। সব ধরনের চুক্তি এবং অর্থ প্রদান ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। কোরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের খাবার-সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে। তাঁবু, সেবা প্যাকেজ এবং পরিবহন খরচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, নিউরোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা, কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি নেওয়া ক্যান্সার রোগী এবং ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা নারীরা হজ নিবন্ধনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ