স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বনশ্রীতে সড়ক অবরোধ
Published: 26th, February 2025 GMT
রাজধানীর বনশ্রীতে অলংকার জুয়েলারির মালিক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বনশ্রী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জুয়েলারি মালিক সমিতির সদস্যরা। তাঁরা খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকার জুয়েলারি মালিক সমিতির সদস্য।
প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা একটি মিছিল নিয়ে রামপুরা থানার দিকে চলে যান।
সড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার করতে হবে। তা না হলে তাঁরা সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন।
খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকার জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি মো.
সড়ক অবরোধের আগে আনোয়ারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অলংকার জুয়েলারির সামনে মানববন্ধন করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা সেখানে কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; সন্ত্রাসীরা যে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করা; ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনোয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো; ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; মামলার অগ্রগতি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো।
গত রোববার রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার সময় আনোয়ারকে গুলি করে তাঁর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।
আরও পড়ুন‘তিনটি মোটরসাইকেলে ৭ জন এসে গুলি করে, তখন দৌড়াতে থাকি’২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক