নাঈম-শাবনাজের মেয়ের আবদার ফেলতে পারেননি বাপ্পারাজ
Published: 26th, February 2025 GMT
একটি সংলাপ কতটা আবেগী হতে পারে, বিষাদে ভরিয়ে দিতে পারে দর্শক-মন, তার আরেকটি উদাহরণ নতুন করে উঠে এসেছে নেট দুনিয়ায়। ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সংলাপ। কিছুদিন আগেও হঠাৎই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার বকুল চরিত্রের অভিনেতা বাপ্পারাজ হেনার খোঁজে টাঙ্গাইলে। সিনেমার মতোই দৌড়ে এসে বাপ্পারাজ নাঈমের সামনে দাঁড়ান, এই অভিনেতার মুখে শোনা যায়, ‘নাঈম ভাই, হেনা কোথায়?’
নাঈম বলেন, ‘হেনার সঙ্গে অনেক আগেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে।’ ‘না’ বলে বাপ্পারাজকে জড়িয়ে ধরেন সান্ত্বনা দেন নাঈম। পরে দেখা যায়, গান গাইতে গাইতে হেনা চরিত্রের শাবনাজ হাজির। মজা করে মুঠোফোনের ক্যামেরার ধারণ করা এই ভিডিও আবার ভাইরাল হয়।
এসব মজার ঘটনা নিয়েই গতকাল টেলিপ্যাব (টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আয়োজিত পিকনিক ও আনন্দ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে কথা বলেন নাঈম।
এই অভিনেতা বলেন, ‘বাপ্পা, ওমর সানীসহ আমাদের সেই সময়ের সবার সঙ্গে নিয়মিতই দেখা হয়, আড্ডা হয়। এবার যখন বাপ্পাসহ আরও অনেকে টাঙ্গাইলে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসেন, তখন যথারীতি আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে চা খাচ্ছিলাম, মজা করছিলাম। ওমর সানী পেছন থেকে ভিডিও করছিল। সব সময়ই নানা মজার ঘটনা ঘটে। আড্ডার মাঝে আমার মেয়ে নামিরা জানায়, বাপ্পা আর আমাকে একটা অনুরোধ রাখতে হবে। মেয়ের আবদার তো রাখতেই হবে। বাপ্পা তখন জানতে চায়, ‘কী মা বলো?”
নাঈম বলেন, ‘বাপ্পা তখন জানতেন না কী হতে যাচ্ছে। পরে নামিরার কাছে সব শুনে, সবার তো চোখ কপালে। হেনার যে অংশ ভাইরাল হয়েছে, সেই অংশ অন্যভাবে অভিনয় করে দেখাতে হবে। এখানে এবার নাঈমকেও থাকতে হবে। এই ভাইরালের যুগে এসব করলে মানুষ কি বলবে। সেই ভাবনা সবার মাথায় ছিল। ‘মেয়ের কথা রাখতে গিয়েই, ভিডিওতে অংশ নিলাম। ওরাই সব ঠিক করল। আমাকে গাছের সঙ্গে হেলিয়ে তারা দাঁড় করিয়ে দিল। পরে আমার কাছে দৌড়ে বাপ্পা আসে। ডায়ালগ দিতে হয়। সেটা আপনারা ভিডিওতে দেখেছেন। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বাপ্পাকে জড়িয়ে ধরি, শাবনাজ এসে নাচে। এটাও পরে দেখি ভাইরাল। আমরা ইচ্ছা করে ভাইরাল করব এমন চিন্তা ছিল না। অল্প সময়েই মধ্যেই ভিডিও করা। তবে বুঝতে পেরেছি দর্শকেরা এখনো আমাদের ভালোবাসেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা।’
নাঈদের কথায়, “একটা সিনেমা তো একজন বানায় না। নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা ভালো সিনেমা নির্মাণ হয়। আজ থেকে ২৮ বছর আগের সিনেমার একটি ডায়লগ যে এভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে সেটা আমাদের কারও জানা ছিল না। এটা শুধু বাংলা দেশে না, অভিনেতা গাব্বার সিং, শাহরুখ খানসহ অনেক অভিনেতা ডায়লগ কমবেশি সবাই আমরা জানি। একটি ডায়ালগ দিয়ে পুরনো একটি ছবি নতুন প্রজন্মের কাছ পরিচিত অর্জন করেছে। ভালোলাগার বিষয় হল- ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘হেনা কোথায়’ নিয়ে বাপ্পারাজ ও শাবনাজের সিনেমার যেভাবে প্রচার ঘটেছে তা অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার। আমি মনে করে তারাই প্রকৃতশিল্পী।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ বন জ শ বন জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা