জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যপী চাকরি মেলা শেষ হয়েছে। মেলায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠান দুই শতাধিক নবীন স্নাতক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পদে চাকরির আবেদন ও ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাব এ মেলার আয়োজন করে। গত সোমবার মেলার প্রথম দিনে ক্যারিয়ারবিষয়ক তিনটি অধিবেশন ও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মো.

মহিউদ্দিন, ক্লাবের প্রধান মডারেটর সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও মডারেটর সহকারী অধ্যাপক মো. আল আমিনসহ অন্য শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তব্য দেন আইডিপি বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রয় ও অপারেশন বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস কে আলমগীর হোসেন, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কার্যনির্বাহী মো. জামিল রওশন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার ইমন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে মেলার মূল আয়োজন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম মেলার উদ্বোধন করেন।

এরপর মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে গিয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। এ সময় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতেও দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের।

প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, ইস্পাহানি লিমিটেড, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ডাবর, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, এনপোলি, রেডমি, ক্রিয়েটিভ আইটি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, আইপিডিসি পিএলসি, ইশিখনসহ বিভিন্ন ব্যাংক, সিএ ফার্ম ও উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দুই দিনব্যাপী এ মেলায় অংশ নেয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ