জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি মেলা
Published: 26th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যপী চাকরি মেলা শেষ হয়েছে। মেলায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠান দুই শতাধিক নবীন স্নাতক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পদে চাকরির আবেদন ও ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাব এ মেলার আয়োজন করে। গত সোমবার মেলার প্রথম দিনে ক্যারিয়ারবিষয়ক তিনটি অধিবেশন ও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মো.
সেমিনারে বক্তব্য দেন আইডিপি বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রয় ও অপারেশন বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস কে আলমগীর হোসেন, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কার্যনির্বাহী মো. জামিল রওশন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার ইমন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে মেলার মূল আয়োজন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম মেলার উদ্বোধন করেন।
এরপর মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে গিয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। এ সময় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতেও দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের।
প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, ইস্পাহানি লিমিটেড, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ডাবর, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, এনপোলি, রেডমি, ক্রিয়েটিভ আইটি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, আইপিডিসি পিএলসি, ইশিখনসহ বিভিন্ন ব্যাংক, সিএ ফার্ম ও উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দুই দিনব্যাপী এ মেলায় অংশ নেয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।