জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। এতে সারা দেশের প্রায় চার হাজার নেতা অংশ নিয়েছেন।

বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিই এই সভার উদ্বোধন করবেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এবারের বর্ধিত সভা করছে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চলমান অস্থিরতা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন—এ দুটি বিষয় সামনে রেখে দলীয় এবং জাতীয় ঐক্যের আহ্বানই হচ্ছে এই সভার মূল লক্ষ্য। এই আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নিজেদের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি সামনে রেখে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরুর লক্ষ্য স্থির করেছে।

সভা শুরুর ২০ মিনিট আগে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন মাইকে ঘোষণা দেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকার বিষয় সভা শুরুর আগে জানানো হলো। সভা শুরুর আগে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী জানান, বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া ।

বর্ধিত সভায় থানা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কেবল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। এ সভাকে ঘিরে সংসদ ভবন এলাকায় ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিগুলো প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, বর্ধিত সভায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা অংশ নিয়েছেন। এর বাইরে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এবং মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক চিঠি পাওয়া নেতাদেরও সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুরে কিছু সময় বিরতি দিয়ে রাত পর্যন্ত সভা চলবে। মূলত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্বোধনী বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বর্ধিত সভা শুরু হবে। শুধু তৃণমূলের নেতারা সভায় বক্তব্য দেবেন।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ছাড়া কোনো কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। তৃণমূলের নেতাদের মতামত শুনে সবশেষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বক্তব্য দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শেষ হবে। বর্ধিত সভা উপলক্ষে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ২০০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন ও মিডিয়া কমিটিও করা হয়েছে।

সভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় ও জাতীয় ঐক্য, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আগে জাতীয় নির্বাচনসহ চলমান বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ ত থ ক ব এনপ র কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দেশের ওপর নেমে আসা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঠেকানোর একমাত্র শক্তি হলো জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চা।”

তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র রুখতে পারে এই গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস।”

আরো পড়ুন:

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

হাদির ওপর আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ: বিএনপি

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির ছয় নম্বর দিনের আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, “আজ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তার আগে চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর ওপরও হামলা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা এসব ঘটনার সুযোগ নিতে চাইবে। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে দেশের মানুষ—গণতন্ত্রের চর্চা।”

তিনি ছাত্রদল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আজ সারা দিন তোমরা যা শিখেছো, তা নিজেদের মধ্যে রাখবে না। এগুলো দেশের মানুষের জন্য কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্রের মূলবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনে তোমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।”

কর্মসূচিতে ছাত্রদের বিভিন্ন কর্মকৌশল, প্রাথমিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা এবং আইটি সেক্টরে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।”

তারেক রহমান বলেন, “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বড় পরিবর্তন আসে। আইটির ক্ষেত্রে তোমরা কীভাবে অবদান রাখতে পার, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “চিকিৎসা পাওয়া একটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এই অধিকার নিশ্চিত করা।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।

ঢাকা/আলী/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যেকোনো মূল্যে হতে হবে নির্বাচন : তারেক রহমান
  • অনেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে, ষড়যন্ত্র ভয়াবহ রূপ নিতে পারে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদিকে গুলি: সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন 
  • ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে দলগুলোর সাড়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
  • ইবিতে হাদি হামলায় মহাসড়ক অবরোধ
  • ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক
  • মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে, আশা মির্জা ফখরুলের