পাকিস্তানের একাদশে তিন বদলের আভাস, কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশে
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান। বাংলাদেশেরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা শেষ হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি মাঠে গড়ালে একাদশে তিন পরিবর্তন এনে শুরু করতে পারে স্বাগতিক পাকিস্তান। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের মতে, বাদ পড়তে পারেন ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। একাদশের বাইরে থাকতে পারেন তার ওপেনিং সঙ্গী ইমাম উল হকও।
পাকিস্তানের পেস আক্রমণের ভরসা ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মিডল অর্ডারে হুমকি হওয়ার কথা ছিল হারিস রউফের। কিন্তু তারা দু’জনই বল হাতে সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই দু’জনের একজন একাদশের বাইরে চলে যেতে পারেন। হারিস রউফের জায়গায় একাদশে ঢুকতে পারেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
বাংলাদেশ সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ নিয়ে খেলবে নাকি পরিবর্তন আনবে তা বোঝা দুষ্কর। তবে দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের একজনকে বিশ্রাম দিয়ে টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকারকে ফেরানো হতে পারে একাদশে।
কিউইদের বিপক্ষে সৌম্যকে বসিয়ে মাহমুদউল্লাহকে খেলানো হয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে টপ অর্ডার ব্যাটার বসিয়ে মিডল অর্ডার ব্যাটার খেলানোর পক্ষে শক্ত যুক্তি দাঁড় করানো কঠিন।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: উসমান খান, কামরান ঘুলাম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আঘা, তায়িব তাহির, খুশদিল শাহ, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ হাসনাইন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’